কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কৃষক অ্যাপ চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষকরা এক সময় ধানের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলন করতো। এখন তারা রাস্তায় নামে না; আন্দোলনও করে না। কারণ, কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃষক অ্যাপসহ নানা ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়াও, সরকার কৃষি উপকরণ বিতরণ, সার, বীজসহ নানাভাবে কৃষকের উন্নয়নে কাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
রোববার সকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর আয়োজিত খামারি অ্যাপ’র কার্যকারিতা যাচাইয়ে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের প্রদর্শনীর ফসল কাটা উৎসবে অংশ নেন এবং মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ময়েজ উদ্দিন শরীফ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আকতার, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোছা. জিলুফা সুলতানা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধানের ফড়িয়া-দালালরাও দেশের অর্থনীতির অংশ। বোরো ধানের মূল্য এক হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও ফড়িয়াদের কারণে প্রান্তিক কৃষকরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার বেশি পাচ্ছেন না। বাজার একচেটিয়া হলেও সমস্যা আছে। কারণ, ধানের বাজারে খুচরা ও পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতা থাকবেই।
অর্থনীতি অনুযায়ী ধানের বাজার তৈরিতে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, কৃষক বাঁচলে, তবেই দেশ বাঁচবে। সেই লক্ষ্য বাস্তায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কৃষক ভাইদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য এখানে এসেছি। তাদের আগ্রহ বাড়াতে সরকার সার ও কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে সরকার এই নীতি গ্রহণ করায় কৃষকরা এখন লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
/এএস
