সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা
প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৪, ০৫:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনকে হত্যার দায়ে ৯ জনকে (পলাতক) মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাঁচজনকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পিপি জহিরুল হক সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 


বিজ্ঞাপন


রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন প্রাপ্ত নয়জনের মধ্যে ১ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন। 

মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মো. রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী ও মমতা আমির হোসেন।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন, আলকরার কুলাসার গ্রামের নজরুল ইসলাম শিমুল আজিম উদ্দিন আনোয়ার হোসেন সোহেল আতিকুর রহমান নান্টু ও ইউসুফ হারুন মামুন।


বিজ্ঞাপন


মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। সে সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ হয়। তারই জের ধরে যুবলীগ নেতা জামালের ওপর হামলা করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত জামাল নিজেই আদালতে মামলা দায়ের করেন। 

মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলার কারণে ক্ষিপ্ত  হয়ে যান ইউপি চেয়ারম্যান। পরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় চৌদ্দগ্রামের পদুয়া সড়কে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা জামালকে গুলি করেন। এরপর তাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ওই ঘটনায় জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার ২৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। 

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জহিরুল হক সেলিম বলেন, মামলায় ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। নয়জনকে  যাবজ্জীবদের আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া পাঁচজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে অনেকেই পলাতক রয়েছেন। 

প্রতিনিধি/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর