দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্রে হলফনামা দাখিল করেন।
তারা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম বাবু (তালা), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল হক আরজু (টিউওবয়েল), বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াজেদ আলী (মাইক) এবং আওয়ামী লীগ নেতা মো. খোরশেদ আলম (টিয়া পাখি)।
বিজ্ঞাপন
মনোনয়পত্রে দাখিলকৃত ৪ প্রার্থীদের বাৎসরিক আয়:
হলফনামা অনুযায়ী বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবুর বাৎসরিক ব্যবসায়িক খাত থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। তার বিপরীত ব্যবসা থেকে আরজুর আয় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ওয়াজেদ আলীর আয় কৃষিখাত থেকে ৪৫ হাজার টাকা এবং খোরশেদ আলমের ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা সবার থেকে বাবুর আয় বেশি ।
নগদ টাকার পরিমাণ:
মনিরুল ইসলাম বাবুর নগদ টাকার পরিমাণ ৩ লাখ টাকা; আরিফুল হক আরজুর ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা; বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলীর ৫ লাখ টাকা ও তার স্ত্রীর নামে ২ লাখ টাকা; খোরশেদ আলমের ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা। এতে নগদ টাকার পরিমাণে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন খোরশেদ আলম।
বিজ্ঞাপন
ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ:
আরিফুল হক আরজুর রয়েছে ৫০ হাজার টাকা; মনিরুল ইসলাম বাবুর ৫০ হাজার টাকা; ওয়াজেদের মাত্র ১ হাজার টাকা এবং খোরশেদ আলমের ২ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে।
স্বর্ণ-অলংকারের পরিমাণ:
ওয়াজেদের রয়েছে ১৫ ভরি; খোরশেদের ৫ ভরি; আরজুর ২ এবং বাবুর ২০ ভরি। এতে বাবুর স্বর্ণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এরা সবাই উপহার থেকে পেয়েছেন বলে হলফনামায় জানান।
আসবাবপত্র ও ইলেকট্রিক পণ্য:
খোরশেদ আলমের রয়েছে ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা; বাবুর মোট ১ লাখ টাকা; আরজুর ১ লাখ টাকা এবং ওয়াজেদ ১ টি মোবাইল ফোন দেখিয়ে অজানা দেখান।
কৃষি জমি ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ:
১। বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলীর নিজের নামে রয়েছে ভ‚মি সূত্রে ৬১ শতাংশ এবং অর্জনকালীন কৃষি জমি ১৬ শতাংশ। সরকারিভাবে প্রাপ্ত তার ১ টি বীর নিবাস এবং তার ব্যসায়কি পুঁজি দেখানো হয়েছে ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংক ভ‚ঞাপুর শাখায় দায়-দেনা রয়েছে ১২ লাখ টাকা।
২। আরিফুল হক আরজুর পৈত্তিক বসতভিটা ছাড়া কোনো ধরণের ভ‚মি বা কৃষি নেই। তবে, চলমান ব্যবসায়িক পুঁজি রয়েছে ১২ লাখ টাকা। এছাড়া হলফনামায় কোনো দায়-দেনা দেখানো হয়নি।
৩। মনিরুল ইসলাম বাবুরও পৈত্তিক বসতভিটা ছাড়া নেই কোনো ভূমি ও কৃষি জমি। তিনিও হলফনামায় কোনো দায়-দেনা নেই।
৪। খোরশেদ আলমের পৈত্তিক বসতভিটা ছাড়া কোনো ধরণের ভূমি বা কৃষি জমি নেই। এছাড়া তিনি কোনো ব্যাংকে দায়-দেনা হলফনামায় দেখাননি।
হলফনামায় দেওয়া তথ্যমতে- শিক্ষাগত যোগ্যতায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন। তার বিপরীত আরিফুল হক আরজু এসএসসি পাস, খোরশেদ আলম এইচএসসি পাস এবং ওয়াজেদ আলীও স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন।
প্রতিনিধি/এজে

