মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ঢাকা

বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি, খুলনা
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেফতার

খুলনার দিঘলিয়ায় বিস্কুট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার ( ৮ মে) রাতে এ ঘটনা ঘটে। আসামিকে জেলে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।


বিজ্ঞাপন


ওই শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হারুন মিনা (৪৫)। তিনি খুলনার দিঘলিয়ার গোলাম মিনার ছেলে। 

আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণ, যুবক গ্রেফতার

শিশুটির নানী মামলার এজাহারে জানান, বুধবার (৮ মে) আমার সাত বছর বয়সী না‌তনী বিকেলে বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। এ সময় পাশের বাড়ির ৪৫ বছর বয়সী হারুন মিনা তাকে বিস্কুট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। না‌তনীর চিৎকার শুনে হারুনের ঘরের সামনে যেয়ে আমার না‌তনীর নাম ধরে ডাকতে থাকি। আমার ডাক শুনে হারুন আমার না‌তনীর হাতে দু’টি বিস্কুট ধরিয়ে দিয়ে দরজা খুলে দেয়। এরপর আমার না‌তনী কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে বের হয়ে আসে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি যে কী হয়েছে? সে আমাকে ঘটনা বলা মাত্র তার পরনের প্যান্ট খুলে ধর্ষণের আলামত দেখতে পাই। তখন আমি আমার আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় হাজির হয়ে মামলা দায়ের করি।

অন্যদিকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, ঘটনাটি এলাকায় জানাজনি হলে একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং ভুক্তভোগীদের থানায় আসতে বাধার সৃষ্টি করে। তখন শিশুর স্বজনরা গোপনে ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। খবর পেয়ে দিঘলিয়া থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত হারুনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।


বিজ্ঞাপন


ঘটনার দিন রাতেই শিশুটির স্বজনরা তাকে চিকিৎসার জন্য দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাসনিয়া শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। রাতেই শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোংলার কাটাখালি। সে তার নানা বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে।

দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বাবুল আক্তার বলেন, গতকাল রাতে ৯৯৯ নম্বর থেকে কল পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত হারুন মিনাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে গ্রেফতার আসামিকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর