প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, দেশের সব মানুষকে পেনশনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে দিনমজুর খেটে খাওয়া থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে পেনশন স্কিমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এসময় তিনি সরকারের যুগান্তকারী এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
রোববার (৫ মে) দিনব্যাপী রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় পেনশন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরো বলেন, রংপুর বিভাগে ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ বসবাস করে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ পেনশনের আওতায় চলে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভাগীয় পেনশন মেলায় সকলেই অংশ নিচ্ছে এবং রেজিষ্ট্রেশন করছে। দেশের প্রতিটি মানুষকে পেনশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে মেলা জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও করা হবে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়ন এবং জোরদারকরণের লক্ষ্যে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পেনশন স্কিমের নির্বাহী চেয়ারমান কবিরুল ইজদানী খান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথোরিটি’র এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান ফসিউল্লাহ, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, অতিঃ ডিআইজি রশিদুল হাসান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান প্রমুখ।
পরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বিভাগীয় কর্মশালা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় পেনশন মেলায় অংশ নেয় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিভাগের সরকারী ও বেসরকারী দফতর এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের ১২৫টি স্টল।
মেলার বুথে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে যে কোন ব্যক্তি ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলে পেনশন স্কিম চালু করে। মেলা ও কর্মশালায় রংপুর বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় কর্মকর্তা, শিক্ষকরা অংশ নেন।
প্রতিনিধি/একেবি