বাবা মা নাম রেখেছিলেন চম্পা রানী। কিন্তু প্রেম করে বিয়ের সময় ‘রানী’ হয়ে যান ‘বেগম’। অর্থাৎ পূর্বের চম্পা রানী’র পরিচয় হয় চম্পা বেগম নামে। কিন্তু বিয়ের পর স্বামী হেলাল উদ্দিন ফারুখ তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
বরিশালের এই ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা হয় প্রতারণা ও যৌতুকের।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৮ এপ্রিল) বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি রাজিব মজুমদার। এর আগে চলতি বছরের ৩ মার্চ বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করেন ভূক্তভোগী চম্পা বেগম।
অভিযুক্ত স্বামী হেলাল উদ্দিন ফারুখ নগরীর হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী রাজিব বলেন, চম্পা রানীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরিত করে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর বিয়ে করে হেলাল। এরপর চম্পা রানীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় চম্পা বেগম। এর কিছু দিন পর চম্পা বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারণার ফাঁদে পরেছে।
বিয়ের পর থেকেই ভরণপোষণ কিংবা স্ত্রী মর্যাদা না দিয়ে উল্টো যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছিলো হেলাল। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আদালতে মামলা দায়ের করেন চম্পা। সেই মামলায় রোববার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি