গরমে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজশাহী। আপাতত বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দুঃসহ গরমে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষভাবে শ্রমজীবীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। গরমে রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে। এরইমধ্যে রোববার (২৮ এপ্রিল) হিট স্ট্রোক করে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার দুপুর ২টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। অর্থাৎ মধ্যদুপুরে তাপমাত্রা থাকছে অসহনীয় পর্যায়ে। এর আগে শুক্রবার বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছরের ১৭ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
বিজ্ঞাপন
তথ্য বলছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতেই রেকর্ড করা হয়েছিল। ওইদিন রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এটিই এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
আরও পড়ুন
তবে চলমান গরমে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। সম্প্রতি জেলার বাগমারায় হিট স্ট্রোক করে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। আর রোববার দিলীপ বিশ্বাস (৩৫) নামে এক যুবক মারা গেলেন। তিনি জেলার পবা উপজেলার দামকুড়া থানার কাদিপুর গ্রামের গোপাল বিশ্বাসের ছেলে। দিলীপের বাবা গোপাল বিশ্বাস বলেন, ছেলে আমার হিট স্ট্রোক করে মারা গেল। তার অসুখবিসুখ ছিল না। সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরই মারা যায়।
টানা তাপপ্রবাহের কারণে আম ও লিচুসহ বিভিন্ন ফলের গুটি ঝরে পড়ছে। ছাতা ব্যবহার করে চলাচল করছেন পথচারীরা। যদিও গরম থেকে রক্ষা পেতে নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করে প্রার্থনা অব্যাহত রয়েছে। ইসলাম ধর্মালম্বীরা অঝোর কেঁদে পানির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ জানাচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
জানতে চাইলে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের অবজারভার মো. গাওসুজ্জামান বলেন, তাপমাত্রা আপাতত এরকমই থাকবে। আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখছি না। কষ্ট হলেও কিছু করার নেই, অপেক্ষা করতে হবে।
প্রতিনিধি/একেবি