সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ঢাকা

চুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

চুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ
গত ২২ এপ্রিল আন্দোলনরত চুয়েট শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে জব্দ থাকা বাসে আগুন ধরিয়ে দেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জেরে টানা চতুর্থ দিনের মতো সড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের হল ত্যাগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে আজকের মধ্যেই ছেলেদের এবং আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে মেয়েদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


বিজ্ঞাপন


চুয়েটের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুয়েটের পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের এবং শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগ করতে হবে।

এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা এবং তাদের কাছে জব্দ থাকা দুটি বাসের একটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।

গত সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়া নগর সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন— চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের তৌফিক হোসেন। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত আরেক শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


বিজ্ঞাপন


দুই সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা সোমবার বিকেল থেকে চুয়েট গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিল। সেদিন রাতে শাহ আমানত পরিবহন গ্রুপের একটি বাসে আগুন দেয় তারা। এছাড়া একই সার্ভিসের বাস ভাংচুর করা হয়।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে চুয়েট কর্তৃপক্ষ, পরিবহন মালিক শ্রমিক প্রতিনিধি ও ছাত্র প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে নিহতদের পাঁচ লাখ করে ও আহত শিক্ষার্থীকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।

কিন্তু শিক্ষার্থীরা ১০ দফা ঘোষণা করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। তারা নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানায়। বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় গেটে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা ফের বিক্ষোভ শুরু করলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বেশিরভাগ গাড়ি থেকে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়। শিশু ও বৃদ্ধদেরও তারা গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়।

দুপুরে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। তারপর একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর