গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ছে দিনাজপুর। প্রখর রোদ ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টি না হওয়ায় নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির অভাবে ফসলের খেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। পানির জন্য সর্বত্র হাহাকার অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য মহান আল্লাহর নিকট দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছেন বিভিন্ন বয়সের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চিরিরবন্দর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের ইমাম তৈয়বুর রহমান আনসারির ইমামতিতে চিরিরবন্দর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের নামাজ আদায় করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, দিনাজপুরের প্রধান ফসল ধান। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি পার হলেও বৃষ্টির দেখা নাই। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে বোর আবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন কৃষক। বৃষ্টির অভাবে বর্ষাকালেও ডাঙা ও কিছু আবাদি জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ঝড়ে পড়ছে আম লিচুর গুটি। খরা ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে সকালে উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, বকুলতলা মাদরাসা, রানীরবন্দর মাদরাসা,বিন্যাকুড়ি মেড়াইডাঙ্গা ঈদগা মাঠে নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। নামাজ শেষে অব্যাহত অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য ও আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
নামাজে অংশগ্রহণ করা মুসল্লি ওবায়দুর রহমান সবুজ বলেন, বৈশাখ মাসেও আকাশের বৃষ্টি দেখা নাই। এ বছর সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা দেখা যাচ্ছে আবহাওয়ার। তাই আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করেছি। আল্লাহ যেন এই পরিস্থিতির অবসান ঘটান।
বিজ্ঞাপন
চিরিরবন্দর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের ইমাম তৈয়বুর রহমান আনসারি বলেন, দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচণ্ড খরায় মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এখানকার জনজীবন। প্রাণিকূলসহ মানবজাতির এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ও মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনসহ আনুগত্য প্রকাশে এই নামাজ আদায় করেছেন।
প্রতিনিধি/টিবি

