প্রতিবারই কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান বাক্স খোলার পর টাকা-পয়সা, সোনাদানা, বিদেশি মুদ্রাসহ নানান জিনিসের সঙ্গে পাওয়া যায় হাতে লেখা বিভিন্ন চিঠি। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এবার পাগলা মসজিদের দান বাক্সে মিলেছে এক প্রেমিকার চিঠি।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা মেইলের নজরে আসা সেই চিঠিকে হাতে লেখা ছিল— একজন প্রেমিকার ভালোবাসা না পাওয়ার আকুতি, সেই সঙ্গে প্রেমিককে ফিরে পাওয়ার প্রার্থনা।
বিজ্ঞাপন
নাম পরিচয়হীন ওই প্রেমিকার চিঠিতে লেখা ছিল, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। হে আল্লাহ সমস্ত প্রশংসা শুধু তোমার জন্য। হে আল্লাহ আমি একটা ছেলেকে অনেক পছন্দ করি। আর সেও আমাকে। আমরা বিয়ে করতে চাই। কিন্তু তার মা-বাবা-ভাই মেনে নেয় না। আল্লাহ তোমার খুদরতির নাম ধরে আমার পছন্দের মানুষকে ফ্যামিলি যেন আমাদের মেনে নেয় তুমি এই তৌফিক দান করো। আমিন।’
উল্লেখ্য, এবার ৪ মাস দশদিন পর খোলা হলো পাগলা মসজিদের ৯টি দান সিন্দুক। যেখানে রেকর্ড পরিমান ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। মাদরাসার শিক্ষার্থী কমিটির লোকজন, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দুই শতাধিক লোকের সমন্বয়ে চলছে টাকা গণনার কাজ। এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এই মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এতো টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।
জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দার তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। বর্তমানে সেটি সম্প্রসারিত হয়ে ৩ একর ৮৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিনিধি/টিবি