ঝালকাঠিতে অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় ঘাতক ট্রাক চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার গাবখান এলাকায় থেকে তাদেরকে আটক করা হয় বলে জানান ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল।
বিজ্ঞাপন
আটককৃত চালকের নাম আল আমিন হাওলাদার। তার বাড়ি ঝালকাঠি সদরের নবগ্রামে। আর সহকারী নাজমুল শেখ খুলনা সদরের বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আল আমিন নিয়মিত চালক ছিলেন না; তিনি বদলি চালক হিসেবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি খুলনা থেকে সিমেন্টের বস্তা নিয়ে নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন।’
এর আগে, দুপুর ২টার দিকে জেলার গাবখান সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় প্রাইভেটকার ও অটোরিকশাকে ট্রাক চাপা দেওয়ার ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৭ জন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ১২ জন ও বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন রয়েছেন।
ডা. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৭ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ১০ জন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ও ৭ জন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর থেকে সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক বরিশালের দিকে যাচ্ছিলেন। গাবখান সেতুতে ট্রাকটির ব্রেক ফেল হলে সামনে থাকা একটি প্রাইভেটকার ও তিনটি অটোরিকশাকে চাপা দিলে ১৪ জন নিহত হন এবং ১৭ জন আহত হন।
প্রাইভেটকারটি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল বলে জানা যায়।
এমএইচটি
