অবশেষে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হলো না। দিন শেষে বেরিয়ে আসলো আসল খবর। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় রোববার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে পৃথক তিন গ্রামের তিন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র ডাকাত দল নগদ টাকা, মালামাল ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। রাত ১২টা থেকে তিন ঘণ্টায় উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের নতুন ভুক্ত মালিথিয়া, উলুবাড়িয়া ও বন্দেখালি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অথচ ওই গ্রামগুলো স্থানীয় নাঙ্গলবাধ পুলিশ ফাঁড়ি (নতুন ভুক্ত মালিথিয়া) নিকটবর্তী।
ভুক্তভোগী নতুন ভুক্ত মালিথিয়া গ্রামের বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক নিহার বিশ্বাস জানান, রাত অনুমান ১২টার দিকে দেওয়াল টপকে ১০-১২ জনের মুখোশধারী ডাকাত বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর বিল্ডিংয়ের গেট ভেঙে ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। টের পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। সিসি টিভিতে সংরক্ষিত আছে বলে তিনি জানান।
বিজ্ঞাপন
উলুবাড়িয়া গ্রামের ফরহাদ হোসেনের বাড়িতে একই রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে ৮-১০ জনের সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। ফরহাদ হোসেন জানান, বাড়ির গেট দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ডাকাত দল এবং অস্ত্রের মুখে পরিবারের লোকজনকে একটি কক্ষে জিম্মি করে ২টা সোনার চেইন, ৭টি আংটি, এক জোড়া কানের দুল, ৩টা স্বর্ণে (মাথার) সিতা, ২০০ ডলার (সিংঙ্গাপুর), নগদ ১৭ হাজার টাকাসহ ৪ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়।
একই রাত ২-৩০ মিনিটের সময় উপজেলার বন্দেখালি গ্রামের জুমারত মন্ডলের বাড়ির দরজা ভেঙে ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে।
জুমারত মন্ডল জানান, অস্ত্রের মুখে পরিবারের লোকজনকে জিম্মি করে ২টা স্বর্ণের আংটি, ৩টা মোবাইল ফোন ও নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ ৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। এক পর্যায়ে ডাকাতদের ধাওয়া করলে বন্দুকের গুলি ছুঁড়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় জুমারত মন্ডলের নাতি ছেলে জিহাদ মন্ডলের গায়ে বারুদ ছুটে লাগে বলে জানান জুমারত মন্ডল। মজার ঘটনা হলো ডাকাতরা একটি একটি মোবাইল ফোন ফেলে গেছে। ফোন পুলিশ ক্যাম্পে জমা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী রাত ৯টা ৩০ মিনিটে জানান, তিন বাড়িতে নয় দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ফাড়ি কাছেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্বীকার করেন ওসি।
তিনি আরও জানান, ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। যার নম্বর-১৩।
প্রতিনিধি/এসএস