নাবিক সাব্বিরের মুক্তির খবরে আবেগে আপ্লুত বাবা-মা

নাবিক সাব্বিরের মুক্তির খবরে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বাবা হারুন অর রসীদের পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা। আবেগে  আপ্লুত হয়েছেন সাব্বিরের বাবা-মা। 

নাবিক সাব্বিরের বাবা হারুন অর রসীদ আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলেসহ জিম্মি সব নাবিকদের মুক্তির খবরের পর থেকে মনে হচ্ছে, আজ আমাদের ঈদ। এরপর সকালে ছেলে ফোন দিয়ে দিয়ে বলেছে, বাবা ভালো আছি চিন্তা করো না। যেদিন আমার ছেলে আমার বুকে আসবে, সেদিন আরও বেশি আনন্দ হবো। মনটা আনন্দে ভরে যাবে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া নাবিক সাব্বির হোসনের টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে আনন্দের বন্যা বইছে। নাগরপুরের সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাব্বির ২০১৪ সালে থেকে এসএসসি পাস করে। টাঙ্গাইল শহরের কাগমারি সরকারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্রগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পাস করে সর্বশেষ গত ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি নেন।

সাব্বিরের মা সালেহা বেগম বলেন, সাব্বিবের সঙ্গে একটু কথা হয়েছে। বলেছে মা চিন্তা করো না আমরা মুক্তি পেয়েছি, সবাই ভালো আছি। এ কথা শুনার পর যেন মনটা ভরে গেল। ঈদের দিন আনন্দ করতে পারি নাই, ছেলের চিন্তায়। একটা মাস কিভাবে কেটেছে তা বলতে পারবো না। আজ যখন ছেলে কল দিয়ে বললো মুক্তি পেয়েছি ভালো আছি কথাটা শুনার পর থেকে আজ যেন ঈদ এমন মনে হচ্ছে। ছেলেকে কাছে পেলে আনন্দটা আরও বেশি বেড়ে যাবে খুশি হবো।

সাব্বিবের বোন মিতু আক্তার বলেন, ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় এক মাস আমাদের বিষাদের দিন কেটেছে। সকালে এক-দুই মিনিটের মতো আমার ভাইয়ের সঙ্গে আমি ও বাবা-মা কথা বলেছি। আমার ভাই বলেছে, আমরা সবাই ভালো আছি সুস্থ আছি। এ কথা শুনার পর আমাদের খুব ভালো লাগছে, খুব খুশি লাগছে। তবে আনন্দটা আরও বেড়ে যাবে আমার ভাই আমাদের কাছে আসলে। কবে দেশে আসবে তা এখনও বলতে পারছি না। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া, সুস্থভাবে মুক্তি পেয়েছে। ঈদের দিন আমাদের আনন্দ ছিল না, আজ আমাদের ঈদের দিনের মতো লাগছে।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, এখনও সাব্বিরের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়নি।