মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বরিশালে প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুন

জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল
প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩১ পিএম

শেয়ার করুন:

বরিশালে প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুন

বরিশাল কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের প্রিজন সেলে  হত্যা মামলার এক আসামি আরেক আসামিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক আসামি। রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। 

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে কারাকর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। আসামি হত্যার ঘটনায় সোমবার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ডেপুটি জেলার নুর-ই আলম সিদ্দিকী। হতাহতরা সবাই বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি বলে জানিয়েছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক। 


বিজ্ঞাপন


ওসি বলেন, শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বেলা ১টার দিকে মোতাহারের মৃত্যু হয়।

নিহত মোতাহার (৬০) বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি বরগুনার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হওয়া অপর আসামি অজিত মণ্ডল মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মণ্ডলের ছেলে। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি। তিনি হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযুক্ত আসামি তরিকুল ইসলাম (২৫) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। তরিকুলও পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি।

ওসি আরিচুল হক বলেন, ‘পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি তরিকুল মানসিক রোগী। শেবাচিম হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অপর দুই আসামি মোতাহার ও অজিতকে স্যালাইন রাখার স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে পেটায় তরিকুল। পরে তাদের মধ্যে মোতাহারের মৃত্যু হয়।’

আরও পড়ুন

ঝালকাঠি কারাগারে হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এক নায়েক ও দুই কনস্টেবল প্রিজন সেলটির দায়িত্বে ছিলেন। তিন আসামি ওই সেলের একই কক্ষে ছিলেন; তাদের মধ্যে একজন মানসিক রোগী। সকালে হঠাৎ ওই মানসিক রোগী, অপর দুই আসামিকে স্ট্যান্ড দিয়ে বেধরক পেটায়। এ সময় মোতাহারের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। অজিত আঘাত পেলেও তা গুরুতর নয়। 

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় সেলের চাবি নিয়ে দায়িত্বরত একজন বাইরে নাস্তা করতে গিয়েছিলেন। তাই বাকিরা ঘটনার সময় ঢুকতে পারেনি।’

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।’
এতে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘প্রিজন সেলে নিহতের ঘটনায় আমি কোনো বক্তব্য দিবো না’।

মানসিক রোগী আসামিকে কেন আলাদা রাখা হয়নি? এমন প্রশ্নে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্মা রায় বলেন, ‘প্রিজন সেলে নিহতের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কী ঘটেছে, তদন্ত না করে বলা যাবে না। তবে কারও দায়িত্বে অবহেলা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন

ঢামেকে কারাবন্দি আসামির মৃত্যু

প্রতিনিধি/একেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর