সুনামগঞ্জের ছাতকে তিন পরিবারকে একঘরে করা নিয়ে দুই গ্রামের দুই পঞ্চায়েত গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে ও ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে।
রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউপির খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ রমজান আসরের নামাজের পর মহব্বতপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে আফজল (২২) এর সঙ্গে একই গ্রামের কুসুম আলীর ছেলে আলী আহম্মদের (৩৫) মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে তারাবির নামাজের পরে মহব্বতপুর মসজিদের সামনে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে আমজাদ আলী এ বিষয়ে খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েতী মুরুব্বি আব্দুল খালিককে (৪৫) জানালে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বশর এবং আফরোজ আলীর পক্ষের লোকজনরা মিলে আমজদ আলী, ইয়াকুব আলী এবং তোরাব আলী এই তিন পরিবারের লোকজনদের একঘরে করে রাখার ঘোষণা দেন।
বিষয়টি গতকাল রাতে খুরমা গ্রামের পঞ্চায়েত আব্দুল খালিককে জানালে আব্দুল খালিক তার সঙ্গের লোকজনদের নিয়ে মহব্বতপুরে গিয়ে মহব্বতপুর পঞ্চায়েতের কাছে তিন পরিবারকে একঘরে করে রাখার বিষয়টি জানতে চাইলে খুরমা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মহব্বতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জেরে মহব্বতপুর গ্রামের আবুল বশর মুন্না এবং আফ্রোজ আলী গ্রামের লোকজনদেরকে মসজিদের মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে মানুষকে খুরমা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো করেন। পরে খুরমা এবং মহব্বতপুর গ্রামের আনুমানিক ৩০০-৪০০ লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে অফিসার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ১৫ রাউন্ড শর্টগানের রাবার বুলেট ছুঁড়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল হতে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস
