শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ঢাকা

পিরোজপুরে বেল্লালের এলাকায় শোকের মাতম

জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

পিরোজপুরে বেল্লালের এলাকায় শোকের মাতম

ঢাকার সদরঘাট হয়ে লঞ্চ পথে স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া যাওয়ার পথে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চলছে শোকের মাতম।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে সদরঘাট লঞ্চঘাটের ১১ নম্বর পল্টুনের সামনে এ দুর্ঘটনা হয়।
  
নিহতরা হলেন- জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ৪ নম্বর দাউদখালী ইউনিয়নের খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মুন্সির ছেলে মো. বেলাল হোসেন (২৮), তার ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুক্তা বেগম (২২) ও তাদের চার বছরের মেয়ে শিশু মাইশা আক্তার।


বিজ্ঞাপন


বেলাল হোসেন ঢাকার গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ভিড় এড়াতে তিনি ঈদের দিন সদরঘাট হয়ে লঞ্চ যোগে মঠবাড়িয়ার গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঈদ করতে রওনা দেন।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিল্লাল হোসেন কয়েক বছর আগে বাবাকে হারিয়েছেন। বেঁচে আছেন কেবল মা আলেয়া বেগম।

তিনি গামের বাড়িতে থাকেন। ঈদের সময় ছুটি পেয়ে বিল্লাল প্রতিবার ঈদ করতে ছুটে যান মায়ের কাছে। এবারও চেয়েছিলেন ঈদের দিন মায়ের হাতের রান্না করা সেমাই মুখে দিয়ে গ্রামের ঈদগাহ ময়দানে সবার সঙ্গে নামাজ আদায় করবেন। তবে স্ত্রী মুক্তা বেগম ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ঈদের আগে বাড়িতে যাননি। ঈদের দিন যাত্রীর চাপ কম থাকবে বলে এদিন বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু কে জানতো এই যাত্রায় হবে পরিবারটি শেষ যাত্রা।

ঈদের দিন বাড়ি ফেরার জন্য চার বছরের শিশু সায়মা তার বাবা বিল্লাল এবং মা মুক্তার সঙ্গে ভোলার চরফ্যাশনগামী এমভি তাসরিফ লঞ্চে উঠতে চেয়েছিল। তবে অন্য একটি লঞ্চের ধাক্কায় বাবা-মায়ের সঙ্গে শিশুটিরও মৃত্যু হয়।


বিজ্ঞাপন


নিহত বেল্লাল হোসেনের মামাতো ভাই শাকিল হোসেন জানান, বেল্লাল ঢাকার গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তার স্ত্রী সেখানে একটি দর্জি দোকানে কাজ করতেন। অত্যন্ত গরীব পরিবারের বেল্লাল হোসেনই পরিবারের একমাত্র উপার্জন করার ব্যক্তি ছিলেন। বৃহস্পতিবার মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে লঞ্চে রওনা দিলে সদরঘাট বসে দুর্ঘটনায় তারা প্রাণ হারায়।

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ূম জানান, নিহত বেল্লাল অত্যন্ত গরীব পরিবারের সদস্য। তাই  আমরা উপজেলা প্রশাসন তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। ইতিমধ্যে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে যাতে সার্বক্ষণিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ ঢাকা থেকে নিয়ে আসার ব্যাপারে সহযোগীতা করেন।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর