বগুড়ায় বিভিন্ন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মোবাইল ক্লোন করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালিয়ে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শিবগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার হাটগাড়ী এলাকার আহাম্মেদ ইমতিয়াজ ওরফে রাসেল এবং তার সহযোগী মহব্বত নন্দিপুর এলাকার সজল ইসলাম। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতার ব্যক্তিরা পেশাদার প্রতারক। তারা বেশ কিছুদিন ধরে কখনও শেরপুর থানার ওসি আবার কখনও বগুড়া সদর থানার ওসি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতারণামূলক টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।
গত ২ এপ্রিল শেরপুরের কুসুম্বী ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের মোবাইল নম্বরে ভুয়া একটি বিকাশ রিফিলের বার্তা পাঠায়। বার্তা পাঠানোর পর তারা বলে ‘আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন অফিসারের নামে টাকা পাঠাতে গিয়ে আপনার নামে টাকা ভুল করে চলে গেছে। খুবই দ্রুত টাকা ফেরৎ পাঠান, তা না হলে আমি পুলিশ পাঠাবো।’
ওসি রেজা আরও জানান, এইভাবে শেরপুর থানার উত্তর সাহাপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক এক কর্মকর্তার কাছে সাড়ে ২০ হাজার টাকার ভুয়া বার্তা পাঠায়৷ পরে সন্দেহ হলে ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেরপুর থানায় অবগত করলে পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে শিবগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৬টি মোবাইল, সচল ও অচলসহ ৪২টি সীমকার্ড, নগদ ২১ হাজার টাকা, একটি নোটবুক ও খাতা জব্দ করে পুলিশ।
ওসি রেজা বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
প্রতিনিধি/একেবি