রোববার, ১৯ মে, ২০২৪, ঢাকা

মুখে কালি মেখে কমান্ডো স্টাইলে ব্যাংকে ডাকাতি করে সন্ত্রাসীরা

জেলা প্রতিনিধি, বান্দরবান
প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

মুখে কালি মেখে কমান্ডো স্টাইলে ব্যাংকে ডাকাতি করে সন্ত্রাসীরা

বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি করতে শ খানকের মতো সন্ত্রাসী অংশ নেয়। কেউ যেন চিনতে না পারেন সেজন্য সবাই মুখে কালি মেখে পুরো উপজেলা পরিষদ এলাকা ঘিরে ফেলে। এরপর মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ আদায় করতে যাওয়া ব্যাংক ম্যানেজারকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভল্ট খোলার চেষ্টা করে।

বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও ভারপ্রাপ্ত) মো. দিদারুল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন। তারা জানান, শ খানেকের মতো সন্ত্রাসী মুখে কালি লাগিয়ে অনেকটা কমান্ডো স্টাইলে পুরো উপজেলা পরিষদ এলাকা ঘেরাও করে। তখন তারাবির নামাজ আদায়ের জন্য অধিকাংশ মানুষই মসজিদে ছিলেন। সন্ত্রাসী সেখানে গিয়ে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে খুঁজে না পেয়ে আনসার সদস্যদের মারধর করে নিয়ে যায়। পরে তাদের মাধ্যমে ম্যানেজারকে শনাক্ত করে তাকে নিয়ে ব্যাংকের ভল্ট খুলতে যায়। রাতে পুরো উপজেলা পরিষদ এলাকা প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল তারা।


বিজ্ঞাপন


ruma-3রুমা শাখার সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার উথোয়াইচিং মারমা বলেন, গতকালের ঘটনার আগে ডরমেটরির বাইরে যুবউন্নয়ন অফিসের পাশে গিয়ে চায়ের দোকানে চা খাইতে যাই। এ সময় মুখে কালি লাগানো অপরিচিত তিনজন অস্ত্রের মুখে তার কাছ থেকে ১৫ শ টাকা ও ব্যাংকের চাবি নিয়ে নেয়। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী আসার পর ব্যাংকে এসে দেখে সবকিছু ভাঙচুর করা হয়েছে।

উথোয়াইচিং মারমার ধারনা ভল্টের ভেতরে এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা জমা ছিল। তিনি বলেন যেহেতু চাবি দুটি। তার মধ্যে ম্যানেজারের কাছে একটি থাকে। আর তার কাছে একটি চাবি থাকে। তাই দুটি চাবি না হলে ভল্টের টাকা নেওয়া যাবে না। সেজন্য তিনি আশা করছেন টাকাগুলো সন্ত্রাসীরা হয়তো নিয়ে যেতে পারেনি।

আরও পড়ুন

খোঁজ মেলেনি সেই ব্যাংক ম্যানেজারের, এখনও হয়নি মামলা

ঘটনার পর পুরো রুমা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনী কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। 


বিজ্ঞাপন


এদিকে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার পর বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে সোনালী ব্যাংক পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন।

ruma-2এ সময় জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, সোনালী ব্যাংকের ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা। ব্যাংকের ভল্ট চেক করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রাইমসিন টিম এলেই বোঝা যাবে টাকা খোয়া গেছে কি না? ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে।

পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, পুলিশের ৮টি চায়না রাইফেল, ২টি এসএমজিসহ ১০টি অস্ত্র এবং ৩৮০ রাউন্ড গুলি, আনসারের ৪টা শর্টগান, ৩৫ রাউন্ড গুলিসহ ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে সন্ত্রাসীরা। তবে কে বা কারা এমন কাজ করেছে ক্রাইমসিনের সদস্যরা ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তদন্ত করবে। তাছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

প্রতিনিধি/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর