বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

মেহেরপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৭

জেলা প্রতিনিধি, মেহেরপুর
প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৫ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

মেহেরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্ট রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের মাদরাসা মাঠের পাশে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


আহত ব্যক্তিরা হলেন- মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাধাকান্তপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম মাস্টারের ছেলে শাহরিয়ার লিওন (৩৮), আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আনসার আলীর ছেলে আরিফ হোসেন, পালু শেখের ছেলে মোছাব আলী এবং নজরুল ইসলাম।

অপর পক্ষের আহতরা হলেন- একই গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে আনারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও জামাই ফারুক হোসেন।

আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি শাহরিয়ার লিওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আহত লিওনের পক্ষের কর্মী সুরজ আলী বলেন, তিন মাস আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। সেই নির্বাচনের জের ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনকে গ্রামের মসজিদ, ঈদগাহ ও গোরস্থানের কমিটি থেকে বাদ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির নেতাকর্মীরা।


বিজ্ঞাপন


তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে এসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের স্থানীয় কর্মী সমর্থকদের নাম বাদ দিয়ে দিয়েছেন। তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেছে।

তারাবি নামাজ শেষে শাহরিয়ার লিওনসহ অন্যান্যরা একটি দোকানে বসেছিলেন। এ সময় মহসিন আলীর ছেলে ভনা ও ফারুক, আমজাদ হোসেনের ছেলে সেলিম, রেজাউল হকের ছেলে রানা হোসেন ও জাহাঙ্গীর কিতাব আলীর ছেলে মিলটন, মোজাম্মেল হকের ছেলে হামিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন লোক দেশীয় তৈরি অস্ত্র নিয়ে এসে লিওনের সঙ্গে প্রথমে বাগবিতণ্ডা ও পরে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এসময় উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হন।

সদর থানার ওসি কনি মিয়া জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সদর থানা ও স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের বিপুল পরিমাণ পুলিশ সেখানে পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। আর কোনো সংঘাত যেন না হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। এছাড়া কেউ অভিযোগও দেয়নি।

স্থানীয়রা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে তিন মাস আগে। কিন্তু তার জের শেষ হয়নি এখনও। মেহেরপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করার কারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর পক্ষের নেতাকর্মীরা গ্রামের মসজিদ, ঈদগাহ ও গোরস্থানের কমিটি পুনর্গঠন করতে চাই। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিটির দখল নিতে বেশ কিছুদিন ধরে শুরু হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে আধিপত্য বিস্তারের মহড়া। এই সংঘর্ষের পর এলাকায় নতুন করে শুরু হয়েছে আতঙ্ক।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর