গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নুরুল ইসলাম (৬২) নামের এক কৃষকের বোরো ধানের খেত কেটে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। স্বপ্নের এই খেত নষ্ট করায় চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন এই কৃষক।
সরেজমিনে সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের উত্তর হাটবামুনি গ্রামের দেখা গেছে ধানখেত কেটে নেওয়ার চিত্র। তখন অশ্রুজলে জমিতে আহাজারি করছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নুরুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর হাটবামুনি গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ মুন্সীর ছেলে নুরুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত খেজের উদ্দিনের ছেলে নবাব আলী ও রোস্তম আলীদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই এক পর্যায়ে শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরের দিকে নুরুল ইসলাম তার জমিতে শাক-সবজি আবাদের জন্য হালচাষ দিতে যায়। এ সময় নবাব আলী ও তার লোকজন উত্তেজিত হয়ে হালচাষ বন্ধ করে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর নুরুল ইসলামের কেনা পাঁচ শতক জমিতে লাগানো বোরো খেত কেটে নিয়ে যায় নবাব আলীরা। এসব বিষয়ে কথা বলতে গেলে নুরুল ইসলামকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম বলেন, আমার কেনা পাঁচ শতক জমিতে বোরো ধান আবাদ এবং পৈত্রিক জমিতে হালচাষ করছিলাম। সেখানে নবাব আলীরা অহেতুকভাবে বাধা দিয়ে কেটে নিয়েছে ধান, বন্ধ করে দিয়েছে হালচাষ। এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এ ব্যাপারে সাদুল্লাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। পুলিশ বিষয়টি দেখছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নবাব আলী জানান, নুরুল ইসলামের ওই পাঁচ শতক জমি কাগজ-কলমে আমাদের। তাই খেত নষ্ট করে দিয়েছি আমরা।
সাদুল্লাপুর থানার উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মোস্তাকিমুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। আর নুরুল ইসলামকে ধানের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন নবাব আলীরা। ব্যাপারটি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস

