ঘূর্ণিঝড় অশনি'র প্রভাবে সকাল থেকেই বরিশালে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
বুধবার (১১ মে) সকাল থেকে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাহফুজুর রহমান ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বরিশালে দুই এক এমন মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এছাড়া সমুদ্র বন্দর সমূহকে ২ নম্বর বিপদ সংকেত ও স্থানীয় নদী বন্দর গুলোকে ১ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ার মাসুম ঢাকা মেইলকে জানান, বৃষ্টির কারণে উপকূলীয় জেলাসমূহ ও দ্বীপ-চরাঞ্চলে জোয়ারের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। সকাল থেকে কীর্তনখোলার পানি বিপৎসীমার নীচে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, কীর্তনখোলা নদীর পানির বিপৎসীমা হচ্ছে ২.৫৫ মিটার। বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ১.৩৫ মিটার। বেলা ১২টায় বৃষ্টিপাতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৪৮ মিটার। সে হিসেবে ০.১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে প্রবাহিত হচ্ছে কীর্তনখোলার পানি। তবে ধীরে ধীরে তা কমে যাবে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় অশনির কোনো প্রভাব পড়েনি বরিশাল নৌ-রুটে। এখন পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএ- এর যুগ্ম পরিচালক বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা মেইলকে জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৬৫ ফুট দৈর্ঘ্যের নিচের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও বরিশাল থেকে এখন আর ৬৫ ফুট দৈর্ঘ্যের নিচের লঞ্চ চলাচল করে না। তাই এ বরিশালে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, নগরীতে বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ফাঁকা হলেও শ্রমজীবী মানুষের আনাগোনা রয়েছে।
টিবি