বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জামালপুরে ভিক্ষুক পরিবারকে গ্রেফতার: ৪ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১ মে ২০২২, ১২:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

জামালপুরে ভিক্ষুক পরিবারকে গ্রেফতার: ৪ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

জামালপুরের সরিষাবাড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিক্ষুক পরিবারের ৪ সদস্যকে অমানবিকভাবে গ্রেফতারের অভিযোগে পুলিশের ৪ উপ-পরিদর্শকে (এসআই) সাময়িক বরখাস্ত ও ২ কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ।

বরখাস্ত করা ৪ এসআই হলেন— এসআই  মুনতাজ আলী, সাইফুল ইসলাম, ওয়াজেদ আলী ও আলতাব হোসেন। প্রত্যাহার করা হয়েছে কনস্টেবল মোজাম্মেল হক ও সাথী আক্তারকে।

এবিষয়ে জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আইন সবার জন্যই সমান। ঘটনাটি শোনার পরপরই আমি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ৪ এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ও ২ কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এছাড়াও তদন্ত করে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসি বাজার এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ভিক্ষুক আব্দুল জলিল (৬৪) ২০ শতক জমিতে বসতভিটা বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি মুজিবুর রহমান নামে একজন ওই জমি তাদের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে ভিক্ষুক আব্দুল জলিল ও মুজিবুর রহমানের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে মামলা হলে সম্প্রতি আদালত আব্দুল জলিলের পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে মুজিবুর রহমান সোমবার (৯ মে) সকালে দলবল নিয়ে আব্দুল জলিলের পরিবারের ওপর হামলা চালায়।


বিজ্ঞাপন


হামলায় স্ত্রী সন্তানসহ গুরুতর আহত হয় আব্দুল জলিল। আহতরা হলেন— আব্দুল জলিল (৬৪), তার স্ত্রী লাইলী বেগম (৫০), বড় ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক (৩০), মেজো ছেলে ওয়ায়েজ করোনি (২৫) ও ছোট ছেলে হামদাদুল হক (১৬)। পরে তাদের সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে চিকিৎসাধীন ৪ জনসহ ১৫ জনকে আসামি করে সরিষাবাড়ি থানায় মামলা করেন।

সেই সময় আব্দুল জলিলের মেয়ে জুলেখা বেগম সাংবাদিকদের অভিযোগ করে জানান, আব্দুল জলিল সোমবার রাতে থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ তাদের মামলা নেয়নি। মঙ্গলবার (১০ মে) পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এজাহারভুক্ত চার আসামিদের আটক করে। হাসপাতালের থেকে তাদের টেনে হিঁচড়ে থানায় নেওয়া হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক তাদের থানা হাজতে রাখার পর বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। পরে রাতে পুলিশের ৪ এসআইকে বরখাস্ত ও ২ কনস্টেবলকে ক্লোজ করা হয়।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর