রাজশাহীর তানোর উপজেলায় জমিতে আলু কুড়াতে গিয়ে এক উপজাতি তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে এ ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ মার্চ) থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই ভুক্তভোগী তরুণী। রাজশাহী জেলা পুলিশের এএসপি (তানোর-গোদাগাড়ী সার্কেল) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আসামিরা হলেন - বাজুন মার্ডীর ছেলে সামুয়েল মার্ডী (২৫), কিলিশ মুর্মুর ছেলে রুবেল মুর্মু (২১) ও নরেশ হাঁসদার ছেলে সিবেন হাসদা (২২)। তাদের বাসা তানোরের চকরতিরাম গ্রামে (শালতলা উপজাতি পাড়া)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর রতনপুর উপজাতি গ্রামের তিন বোন আলু কুড়ানোর জন্য তাদের ফুফুর বাড়ি তানোর উপজেলার চকরহমত সালতলা উপজাতি পাড়ায় আসেন। সেখানে আব্দুর রহিম নামে এক ছেলের সঙ্গে ভুক্তভোগী যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে রাতে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তারা একটি বাগানে দেখা করতে যান। তখন কয়েকজন যুবক সেখানে উপস্থিত হলে আব্দুর রহিম সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই যুবকরা এ তরুণীকে টেনে ফসলের মাঠে একটি তালগাছের নিচে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ওই যুবতীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার সময় তারা বিভিন্ন ভয়-ভীতিও দেখান। পরে এ তরুণী ভয়ে কাউকে কিছু না বলে বড় বোনদের সঙ্গে পর দিন নিজ বাড়ি রহনপুরের রতনপুর উপজাতি গ্রামে চলে যান। বাড়ি যাওয়ার পর তার বোনদের ঘটনাটি খুলে বলেন। এরপর মামলা দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশের এএসপি (তানোর-গোদাগাড়ী সার্কেল) সোহেল রানা বলেন, ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে আমরা অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এমইউ
