বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন

গাজীপুরের শ্রীপুরে তামান্না পালোয়ান নামে এক কলেজছাত্রী পাঁচ দিন ধরে অনাহারে থেকে বিয়ের দাবিতে অনশন করছে। 

গত বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকেলে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের প্রেমিক পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছে ওই ছাত্রী। প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে প্রেমিক জাহাঙ্গীর বাড়ি থেকে পালিয়ে তার কর্মস্থল চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে চলে যায়।

প্রেমিক পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে কর্মরত রয়েছেন। সে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের মোহাম্মদ ছাত্তার ঢালীর ছেলে। প্রেমিকা তামান্না পালোয়ান একই ইউনিয়নের পাশের ধামলই গ্রামের জসিম উদ্দিন পালোয়ানের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও টেকনিক্যাল কলেজের ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনার্স (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

 
ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী তামান্না পালোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ চার বছর ধরে পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীরের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। হঠাৎ করে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এদিকে আমার পরিবার অন্য ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে দিতে চাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমি তার বাড়িতে চলে আসি। আজ পাঁচ দিন চলছে, না খেয়ে রয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত বিয়ে না হবে ততক্ষণ এ বাড়িতেই থাকব। প্রয়োজনে আমার লাশ যাবে এ বাড়ি থেকে।

তিনি  আরও জানান, আমি আসার সঙ্গে সঙ্গে জাহাঙ্গীর আমাকে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। সে আমাকে চিনে না বলে তার পরিবারকে বলে যায়। তিনি আরও বলেন, এরপর পুলিশ সদস্যের ভাই বোন আমাকে মারধর করে আহত করে। তাকে বিয়ে ছাড়া আমার বিকল্প কোন রাস্তা খোলা নেই। কারণ আমাদের প্রেমের সম্পর্ক খুবই গভীরে চলে গেছে।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই মেয়ের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। স্থানীয় কিছু মানুষ মেয়েকে দিয়ে আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে। ফেসবুকে পরিচয়, মাঝে মধ্যে কথা হয়েছে। তবে গভীর প্রেম হয়নি।
 
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আলম খান বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে দু’টি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছেলের পরিবার সমাধান করছে না।