রেলপথমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আপাতত রেলযাত্রীদের ভাড়া বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। তবে রেলের যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি ২০১৬ সালে বৃদ্ধি করা হয়েছে। অনেক জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। ভাড়া বৃদ্ধি করা হলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে করা হবে।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত পাংশা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেলওয়ে ভূমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ বিষয়ে মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
রেলমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে রেলের ২৩ হাজার একর জমি বেদখল হয়ে আছে। যেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। আমার নিজ শহর পাংশা থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেছি। কোনো অবস্থায়ই রেলের জায়গা বেদখল রাখা হবে না।
তিনি আরও বলেন, রাজধানী ঢাকায় ১১টি স্থানে রেলের জায়গা দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। সেগুলোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দখলকৃত জায়গা উদ্ধারে আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগ বাক্স রাখা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেখানে সাধারণ যাত্রীরা অভিযোগ দিতে পারবেন। সেসব অভিযোগ পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন— জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুর মোর্শেদ আরুজ, রেলওয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
/এএস
