শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় পেট্রোল ও অকটেন সংকট

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০২২, ০৪:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় পেট্রোল ও অকটেন সংকট
বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপো। ছবি: ঢাকা মেইল

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপো থেকে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। সেখানে পেট্রোল ও অকটেনের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে ঈদের দীর্ঘ ছুটিকেই কারণ বলছেন ডিপো কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছেন, শিগগির এই সংকট কেটে যাবে।

যমুনা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেডের বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপোর ইনচার্জ আবুল ফজল মুহাম্মদ সাদেকিন জানান, চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত জ্বালানি তেল আমাদের রয়েছে। আজকেও আমরা চাহিদা অনুযায়ী তেল বিতরণ করেছি। তবে যে সংকটের কথা বলা হচ্ছে এটা আসলে মূলত ঈদের দীর্ঘ ছুটি থাকার কারণে সাময়িক সংকট। তাছাড়া তেলের কোনো সংকট নেই।


বিজ্ঞাপন


এই কর্মকর্তা বলেন, উত্তবঙ্গের জেলাগুলোতে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল মিলিয়ে প্রতিদিন ৩০ লাখ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে। শুধু পেট্রোল ও অকটেনের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৬-৮ লাখ লিটার। এই চাহিদা পূরণে আমরা সক্ষম। তবে ঈদে ব্যাংক বন্ধ থাকায় ডিলাররা ঠিকমতো ব্যাংকিং করতে পারেননি। এছাড়াও বেশিরভাগ স্টাফ ও শ্রমিকেরা ছুটিতে ছিলেন। এমনকি তেলবাহী জাহাজগুলো নির্ধারিত সময়ে ঘাটে না আসাও এর একটি কারণ। তবে যে তেলবাহী জাহাজগুলো এখন বাঘাবাড়ী ডিপোর পথে আছে সেগুলো চলে এলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। 

উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহজাহান সিরাজ ঢাকা মেইলকে বলেন, আমার জানা মতে ডিপোতে তেল সংকট রয়েছে। এ কারণে আমাদের সব ট্যাংকলরি চলছে না। তবে যেহেতু আমরা মালিকের গাড়ি চালাই তাই তাদের যদি তেল পারাপার বা আনা নেওয়া না থাকে তাহলে তো আমাদের কিছু বলার নেই। 

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার ডিস্ট্রিবিউশন এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, জ্বালানি তেলের আসলে কোনো সংকট নেই। চাহিদা অনুযায়ী সবাই মোটামুটি তেল পাচ্ছেন। তবে ঈদে মানুষ অতিরিক্ত তেল তোলায় পাম্পের স্বাভাবিক এর চেয়ে চাহিদা বেড়েছে। এর কারণে হয়তো অনেকে মনে করছেন জ্বালানি তেলের সংকট রয়েছে।

জেবি


বিজ্ঞাপন


 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর