কক্সবাজার সমুদ্র উপকুলে একেরপর এক ভেসে আসছে মৃত কাছিম। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন স্থানে ভেসে এসেছে ৯৪টি মৃত কাছিম।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) একদিনেই মৃত অবস্থায় ভেসে এসেছে ১০টি মা কাছিম, একটি ইরাবতী ডালফিন ও একটি রাজকাকড়া। রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে এসব সামুদ্রিক প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বোরি) এর জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, রোববার সকালে হিমছড়ি সৈকত থেকে একটি ইরাবতী ডলফিন ও একটি রাজকাকড়া মৃত অবস্থায় ভেসে এসেছে। এর মধ্যে ডলফিনটি ৬ ফিট লম্বা এবং প্রায় ১২০ কেজি ওজনের। এছাড়া রোববার সারাদিনে সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ১০টি মৃত কাছিম উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া কাছিম অলিভ রিডলি প্রজাতির । এসবের নমুনা সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া কাছিমের পেট পাওয়া গেছে ৭ শতাধিক ডিম৷
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, প্রতিটি কচ্ছপই জালের সুঁতোয় পেছানো এবং আঘাত প্রাপ্ত। উপকূলে ডিম দিতে আসার সময় জেলেদের ফেলে দেওয়া জাল, রশিতে পেছিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এসব কাছিম মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে, ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে উখিয়ার সোনারপাড়া সৈকতে একটি এবং ইনানী সৈকতে একটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। ১৫ ফেব্রুয়ারি হিমছড়ি সৈকতে মৃত ভেসে আসে আরও একটি ইরাবতী ডলফিন। ১৪ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ভেসে আসে একটি মৃত পরপইস। এর মধ্যে গত ২১ ফেব্রুয়ারি কুয়াকাটা সৈকতেও মৃত পাওয়া গেছে একটি ডলফিন। নতুন করে রবিবার সকালে পাওয়া গেল আরও একটি ডলফিন।
বিজ্ঞাপন
এ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মন্তব্য করেছেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খুব গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একের পর এক সামুদ্রিক মা কাছিমসহ সমুদ্রিক বিপন্ন প্রাণী ভেসে আসার ঘটনায় গভীরভাবে চিন্তিত হয়ে উঠেছেন বিজ্ঞানীরা। মূলত সাগরে কি হয়েছে তা স্বচক্ষে দেখতে গভীর সাগরে যাওয়ার কথা ভাবছেন বিজ্ঞানী।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করে গভীর সাগরের পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
প্রতিনিধি/ এজে