ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গ্রাম পুলিশকে মারধরের অভিযোগে দবিরুল ইসলাম (৫৫) নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১০টায় ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম নেকরমদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
ওসি সোহেল রানা জানান, রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার নেকমরদ বাজারে ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম ও তার ছেলে রুবেল ইসলাম নেকমরদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ রায়ের সঙ্গে টাকার বিষয়ে কথা কটাকাটির একপর্যায়ে মারধর করে। পরে এ ঘটনায় রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন ওই গ্রাম পুলিশ। এ ঘটনায় জগেন্দ্র নাথ রায় থানায় অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাই এবং সোমবার রাত ১০টার দিকে ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ রায় ইকো সোশ্যাল অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) বে-সরকারি ঋণ বিতরণ সংস্থা থেকে ১ বছর আগে ঋণ গ্রহণ করেন। সমস্যার কারণে সেই ঋণের টাকার কিস্তি পরিশোধের সময় অতিবাহিত হয়। পরে এনজিওর কর্মকর্তাদের চাপের মুখে ইউপি সদস্য দবিরুলের মধ্যস্থতায় এবং তার সামনে ঋণের সর্বশেষ ৯ হাজার পাওনা টাকা ব্যবস্থাপকের হাতে তুলে দেন জগেন্দ্র নাথ। কিন্তু সেই টাকা ইএসডিওর ব্যবস্থাপক জমা না করে অন্যত্র বদলি হয়ে যান। কিস্তির টাকা জমা দেওয়ার বা গ্রহণের কোনো রশিদ দেননি সেই ব্যবস্থাপক। এতে কোনো প্রমাণ না থাকায় গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ রায়কে আবারও ৯ হাজার টাকা ইউএসডিও কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হয়।
২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদের এক সভায় ওই ব্যবস্থাপককে দেখতে পান গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ। ওইদিন লোকজনের উপস্থিতি বেশি থাকায় তিনি তাকে কিছু বলতে পারেনি। এই কথা গত রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলামকে বললে ইউপি সদস্য গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ রায়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। গালিগালাজের একপর্যায়ে ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম ও তার ছেলে রুবেল ইসলাম গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ রায়কে বেধড়ক মারতে থাকে এবং টানা হেচড়া করে তার গায়ে পরিহিত থাকা গ্রাম পুলিশের পোশাক ছিড়ে ফেলে বলে অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস