শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ফুলহারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন এক প্রভাবশালী। এর প্রতিকার চেয়ে জমিদাতা মৃত ঈশ্বর চন্দ্র চৌকিদারের নাতি মুক্তার কোচ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ফুলহারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সময় ৬০ শতাংশ জমি দান করেন ঈশ্বরচন্দ্র চৌকিদার, যা সরকারের পক্ষে শিক্ষা বিভাগের নামে রেকর্ডভুক্ত। বিদ্যালয়ের জমিতে জহুরুল ইসলাম ও তার ভাই মোশারফ হোসেন বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগকারী মুক্তার কোচ জানান, আমি তাদেরকে বিদ্যালয়ের জমিতে ভবন নির্মাণের নিষেধ করলেও তারা আমার নিষেধ অমান্য করে অন্যের নামে রেকর্ডিও ৭ শতাংশ এবং সরকারি রাস্তার জমি দিয়ে বিদ্যালয়ের জমি বুঝ দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, দাতা পক্ষের উত্তরাধিকার থাকা সত্বেও আমাদেরকে ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কোনো স্থান দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জানতে চাইলে জহুরুল ইসলাম অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, এ জায়গার পরিবর্তে সাত শতাংশ জমি ক্রয় করে বিদ্যালয়কে দেওয়া হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজা বেগম বলছেন, তাদের ভবন নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন তিনি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নুরুন নবী লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি সার্ভেয়ার চেয়ে ইউএনও স্যারের কাছে আবেদন জানিয়েছি। অনুমোদন পেলে ওই বিদ্যালয় ও সরকারি রাস্তার জমি পরিমাপ করা হবে। সরকারি জমিতে ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবন করে থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজা বেগম জানান, আমি বিদ্যালয়ের জমির বিষয়টা তেমন জানতাম না। জানার পর ঘর উত্তোলনকারীদের বিরোধ নিষ্পত্তির আগে কাজ করতে নিষেধ করে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ভুঁইয়া লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দ্রুত তদন্ত করে বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস

