কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের জগন্নাথপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের দেওয়া আগুন এবং বোমার আঘাতে দগ্ধ তুফান ফকিরের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে।
দগ্ধ হওয়ার ৪১ দিন পর রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
তুফান ফকির ওই এলাকার হামেদ ফকিরের ছেলে। ভাতিজা আবু হানিফ তুফানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের ঈগল প্রতীকের সমর্থন করায় গত ৮ জানুয়ারি সকালে ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের দেওয়া আগুন এবং বোমার আঘাতে দগ্ধ হন তুফান।
এ সময় তুফান ফকিরের তিন ভাইয়ের চারটি বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে বাড়িগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সর্ভিস। এদিকে দগ্ধ তুফানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রথমে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (কুষ্টিয়া-১) দৌলতপুর আসনের পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে ঈগল প্রতীকের সমর্থন করেন ওই এলাকার কুব্বাত ফকির ও তার তিন ভাই। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় একই এলাকার ইউপি সদস্য ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থক রশিদ বিশ্বাসের সঙ্গে। গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণায় ট্রাক প্রতীক জয় লাভ করেন। এর পর পরই দলবল নিয়ে মহড়া দিতে থাকে রশিদ ফকির। পরে ৮ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে রশিদের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জনের একটি দল হামলা চালায় কুব্বাত ফকিরের বাড়িতে। এ সময় হামলাকারীরা বোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এবং প্রেট্রোল ঢেলে চারটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বিজ্ঞাপন
এই ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকেই মামলার আসামিরা পলাতক আছে।
প্রতিনিধি/এসএস