শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ঢাকা

নিমগাছ থেকে বের হচ্ছে মিষ্টি রস, মহৌষধ ভেবে সংগ্রহে ভিড়

জেলা প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

নিমগাছ থেকে বের হচ্ছে মিষ্টি রস, মহৌষধ ভেবে রস সংগ্রহে ভিড়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি নিমগাছকে ঘিরে আছে উৎসুক জনতা। কারণ, অলৌকিকভাবে এ গাছটির বিভিন্ন অংশ থেকে বের হচ্ছে মিষ্টি রস। পথচারী ও গ্রামবাসীদের অনেকেই ছুটে আসছেন নিমগাছের গা বেয়ে পড়তে থাকা মিষ্টি রস খেতে। তারা এটাকে মহৌষধ মনে করে রস সংগ্রহে ভিড় করছেন গাছটির চারপাশে।

গ্রামের অনেকেই বিভিন্ন পাত্র গাছে ঝুলিয়েছেন রস সংগ্রহ করতে। ছোট ছেলে-মেয়েরা হাতে নিয়েই চেটে চেটে খাচ্ছে নিমগাছ থেকে বের হওয়া মিষ্টি রস। নিমগাছ থেকে এমন তরল পদার্থ বের হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গড়াইপাড়া গ্রামে।  


বিজ্ঞাপন


নিমগাছটি থেকে তিতা রসের পরিবর্তে বের হচ্ছে খেজুরের রসের মতো মিষ্টি রস। বিভিন্ন রোগ-বালাই থেকে মুক্তির আশায় এই গাছ থেকে রস সংগ্রহে ভিড় বাড়ছে। নিমগাছের মিষ্টি রস খেতে জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ৷ 

Screenshot-2024-02-12-18305
পথচারী ও গ্রামবাসীদের অনেকেই ছুটে আসছেন নিমগাছের গা বেয়ে পড়তে থাকা মিষ্টি রস খেতে

স্থানীয়রা জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে গাছ থেকে অল্প অল্প রস বের হলেও তিন দিন আগে থেকে এর পরিমাণ বেড়েছে। গ্রামের এক ব্যক্তি মুখে নিয়ে নিমগাছের রসের মিষ্টতা দেখলে এ খবর ছড়িয়ে যায় পুরো গ্রামে। এরপর থেকেই গাছ দেখতে ছুটে আসছে উৎসুক জনতা। নিমগাছের পাতা, কাঁচা ফল, বীজ, কাণ্ড ও রস স্বাভাবিকভাবে তিতা হলেও এই গাছের রস মিষ্টি হওয়ায় অবাক গ্রামবাসী ও পথচারীরা।

এ বিষয়ে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত প্রায় দুই সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করেই গাছটি দিয়ে ফেনাযুক্ত রস বের হতে দেখা যায়। এরপর এক ব্যক্তি রস খেয়ে দেখেন এটা মিষ্টি। এরপরই পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কিন্তু গত তিন দিন ধরে মিষ্টি রসের পরিমাণ বেড়েছে। দূর দূরান্ত থেকে লোকেরা এ রস খেতে আসছেন। কেউ কেউ এসে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করছে।  


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, গ্রামের অনেক মানুষের মনেই বিশ্বাস রয়েছে যে এটি মহান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত অলৌকিক ক্ষমতার গাছ। তাই নিমগাছটির রস খেলে বিভিন্ন রোগ-বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, এমন বিশ্বাস থেকে রস সংগ্রহ করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খাচ্ছেন তারা। 

এ বিষয়ে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক একেএম শফিকুর রহমান বলেন, এমন ঘটনা খুব কম দেখা গেলেও একেবারে অস্বাভাবিক নয়। মাটির নিচের গুণাগুণসহ বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে এমনটি হতে পারে। তবে এটি হয়তো কয়েক দিনের মধ্যেই আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে। 

 প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর