শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঘুমধুমবাসীর নির্ঘুম রাত, এলাকা থমথমে

জেলা প্রতিনিধি, বান্দরবান
প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৯ এএম

শেয়ার করুন:

ঘুমধুমবাসীর নির্ঘুমরাত, এলাকা থমথমে
ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া, ছবি: সুফল চাকমা

সীমান্তে বিকট গুলি ও বোমার শব্দে নির্ঘুম রাত কেটেছে সীমান্ত ঘেঁষা ঘুমধুম ও তুমব্রুবাসীর।

তবে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৫টা থেকে গোলাগুলি বন্ধ রয়েছে। এর আগে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত লাগাতার বন্দুক যুদ্ধের পর রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টা বিরতি শেষে আবার রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলছে বন্দুক যুদ্ধ। এখন মোটামুটি গোলাগুলির শব্দ বন্ধ  থাকলেও সীমান্তের পাশে বসবাসকারী স্থানীয় বাংলাদেশী নাগরিকদের মনে আতঙ্ক কাটেনি এলাকার পরিবেশ থমথমে বিরাজ করছে।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয়দের তথ্য মতে, গোলাগুলি যেহেতু বন্ধ হয়েছে এবং ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মায়ানমারের ওপারে থাকা মায়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনীদের  (বর্ডার গার্ড পুলিশ- বিজিপি) ক্যাম্প আরাকান আর্মিরা পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। কেননা, গতকাল দিনভর বন্দুক যুদ্ধের আগ পর্যন্ত সে ক্যাম্পে যারা ছিলেন, তারা যুদ্ধের একপর্যায়ে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিজিবি) কাছে আশ্রয় নিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, আজ সকালে যখন বন্দুক যুদ্ধের গোলাগুলি বন্ধ হয়ে দেখি ওই ক্যাম্পে বেশ কিছু সশস্ত্র মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে। তার ধারণা, আরাকান আর্মির সদস্যরা মায়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্পগুলো দখল করে নিয়েছে।

thumbnail_20240131_135314(0)

তুমব্রু হেডম্যান পাড়া, ছবি: সুফল চাকমা


বিজ্ঞাপন


এদিকে,  গতকাল সারাদিন ভয়-আতঙ্ক এবং উত্তেজনা ছিল সীমান্ত এলাকায়। একদিকে হাজার হাজার রাউন্ড অনবরত গোলাগুলির শব্দ। অন্যদিকে, মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা প্রাণে বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেছেন। এদের মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায়, আবার কেউ কেউ অস্ত্র ছাড়া খালি গায়ে, খালি হাতে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিজিবি) হাতে ধরা দিয়েছেন।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ভোর ৫টার পর থেকে এখন পর্যন্ত শান্ত আছে। কোনো গোলাগুলির শব্দ নেই। তবে গেল রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত গোলাগুলির পাওয়া গেছিল।  গতকাল একদিন ও আজ রাতের ব্যবধানে মায়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি বনাম সরকারি বাহিনীর মধ্যকার চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর প্রায় ৯৫ জন সদস্য বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। যারা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে তাদেরকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর