মুন্সিগঞ্জে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা ২৩৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল দশটায় অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দখলকারীদের বাধায় কিছুটা ব্যহত হয় কার্যক্রম। পরে দুপুর ১২টা থেকে শক্তিশালী ভেকু দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন স্থাপনা।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদা জানান, অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয় বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এতে ৫ ঘণ্টায় সড়কের দু’পাশের প্রায় দুই একর জায়গায় অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া ২২ জানুয়ারি সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের সিপাহীপাড়া এলাকার এই ফুটপাত থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে ঘটে গুলির ঘটনা। পরে ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করে ঘটনার কারণ উদঘাটন করে পুলিশ। এরপর ফুটপাত দখল মুক্ত করতে উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।
সকাল থেকেই এতে অংশ নেয় বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অন্যদিকে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তবে স্থায়ীভাবে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রামপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাচ্চু শেখ বলেন, অতীতেও একাধিকবার এমন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এরপর আবার একই অবস্থা তৈরি হয়েছে এখানে। এবারের উচ্ছেদ অভিযান শেষে যাতে কোনোভাবে পুনরায় দখল না হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোরালোভাবে সেই দাবি জানাচ্ছি। জায়গাটি দখল করে আবারও ফুটপাত গড়ে উঠলে পুনরায় শুরু হবে অবৈধ চাঁদাবাজির নৈরাজ্য।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া পুনরায় দখল ঠেকাতে বৃদ্ধি করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি। একই সঙ্গে ফুটপাতে চাঁদাবাজি ও বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্ডার খায়রুল হাসান। তিনি বলেন, ফুটপাত দখল মুক্ত করে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের যানজট নিরসনে আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা হবে।
অন্যদিকে সদর উপজেলা সহকারী ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদা জানান, জেলা পরিষদসহ সড়ক ও জনপদের সরকারি জায়গা দখল করে ২৩৩টি অবৈধ স্থাপনা ও দোকান গড়ে তোলা হয়েছিল ফুটপাত তৈরি করে।
নিয়ম অনুযায়ী আইন মেনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সব উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২ একরের উপরে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভবিষ্যতে পুনরায় দখল ঠেকাতে ও জায়গাটি দখলমুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলার যেখানেই অবৈধ স্থাপনা থাকবে সেগুলো পর্যাক্রমে উচ্ছেদ করে সরকারি জমি দখলমুক্ত করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস