কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়ায় ঝাউবাগানের বালিয়াড়িতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নেমেছে প্রশাসন।
এসময় সৈকতের বালিয়াড়িজুড়ে অসংখ্য স্থাপনার মধ্যে কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়াও কয়েকটি মাছের প্রজেক্টের সীমানা বেড়াও ভাঙা হয়। তবে বেশিরভাগ স্থাপনা এখনও অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল্লাহ নিজামীর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে ছোট-বড় স্থাপনার পাশাপাশি পেয়ারা বাগান, ইউক্যালিপটাস গাছের বাগান, মাছের প্রজেক্ট করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে ঘেরা বেড়া ভাঙা হলেও স্থাপনা থেকে গেছে বালিয়াড়িজুড়ে। অনেকেই বলেছেন উচ্ছেদ অভিযানে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তারা। দেখে দেখে স্থাপনা ভাঙা হয়েছে। বিশাল বালিয়াড়িজুড়ে এখনও অসংখ্য স্থাপনা বিদ্যমান।
বিজ্ঞাপন
বেশিরভাগ স্থাপনা উচ্ছেদ না হলেও স্কুল এবং খেলার মাঠের দু’টি ভিত্তিপ্রস্তরযুক্ত নাম ফলক ভেঙে ফেলা হয়েছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা বলেন, আজ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলো। শুরুতেই বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে সবকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল্লাহ নিজামী বলেন, সরকারি খাস জায়গায় নির্মাণ করা সকল স্থাপনা আমরা ধীরে ধীরে উচ্ছেদ করব। যেহেতু এটি সরকারি খাস জমি সেহেতু এই জায়গা আমরা উদ্ধারে কাজ করে যাব। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে মৎস্য কর্মকর্তা, বন বিভাগ, আনসার ব্যাটালিয়ন ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন৷
প্রতিনিধি/এসএস