খাগড়াছড়ি পানছড়ি উপজেলাতে বিপুল-সুনীল-লিটন-রুহিন চারজনকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আন্দোলনকারী পাঁচ সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটায় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ), পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও পানছড়ি গণ অধিকার রক্ষা কমিটির যৌথ উদ্যোগে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
পুজগাঙের মুনিপুর এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে লোগাঙ বাজারের পাশে লোগাঙ ইউপি কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এ সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন এবং প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
এতে ইউপিডিএফ সদস্য রাসেল চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সংগঠক নিরব ত্রিপুরা ও শংকর চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বরুন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা আহ্বায়ক এন্টি চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পরিণীতা চাকমা, পানছড়ি গণঅধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য মানেক পুদি চাকমা ও পিসিপির পানছড়ি উপজেলা সভাপতি সুনীল ময় চাকমা।
যুব নেতা বরুন চাকমা বলেন, আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম ভালো নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জুম্মোদের ধ্বংস করে দেয়ার জন্য শাসকগোষ্ঠি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১১ ডিসেম্বর বিপুলসহ চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঠ্যাঙাড়ে (নব্যমুখোশ) বাহিনী ভেঙে দেয়া দেওয়ার দাবী জানান।
বিজ্ঞাপন
পানছড়ি গণঅধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য মানেক পুদি চাকমা বলেন, আমরা পাহাড়ে শান্তি চাই, শান্তিতে বসবাস করতে চাই। গত ১১ ডিসেম্বর যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সেটা খুবই নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। আমরা আর এ ধরনের ঘটনা দেখতে চাই না।
তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারে-প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের এক মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসন এখনো খুনিদের গ্রেফতার না করে উপরন্তু তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
প্রতিনিধি/ এজে