ভোলার চরফ্যাশনে বিরোধপূর্ণ জমিকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে বাবা-মেয়েকে নির্যাতন করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুলার হাট থানা পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪ টায় চরফ্যাশন উপজেলার দুলার হাট থানা এলাকার নুরাবাদ ইউনিয়নের চর তোফাজ্জল গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় প্রতিপক্ষদের হামলায় আহত হয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম, তার মেয়ে সুমাইয়া বেগম ও স্ত্রী ফিরোজা বেগম। তাঁরা বর্তমানে চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রতিপক্ষরা হলেন—একই বাড়ির মো. শাহিন, ফিরোজ, কবির হোসেন, নুরনবী, আয়শা খাতুন, সাথী বেগম ও খতেজা খাতুন। আহতরা এবং হামলাকারীরা পরস্পর আত্মীয়। সম্পর্কে হামলাকারীরা সিরাজুল ইসলামের ভাইয়ের ছেলে এবং ভাতিজা বউ হয়।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নির্যাতনের ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, প্রতিপক্ষের মো. শাহিন, ফিরোজ, কবির, নুরনবী, আয়শাসহ কয়েকজন নারী-পুরুষ সুমাইয়া ও তার বাবাকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে। হামলায় সুমাইয়া নামে ওই নারী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। হামলাকারীদের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচাতে সুমাইয়ার মা-ভাইসহ বেশ কয়েকজন হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন। হামলা করতে করতে হামলাকারীরা একপর্যায়ে বিবস্ত্র হয়ে যান।
চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সুমাইয়া বেগম ঢাকা মেইলকে জানান, প্রতিপক্ষদের সঙ্গে জমি নিয়ে তাদের ঝামেলা রয়েছে। বিরোধপূর্ণ ওই জমি নিয়ে তার বাবা সিরাজুল ইসলাম আদালতে মামলা করেন। ঘটনার দিন প্রতিপক্ষরা আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়িতে গিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর রাতেই সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ফিরোজা বেগম ৭ জনের নাম উল্লেখ করে দুলার হাট থানায় একটি মামলা করেন। পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে শাহিন ও ফিরোজকে গ্রেফতার করে।
দুলার হাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. মহিবুল্লাহ ঢাকা মেইলকে জানান, এ ঘটনায় দুই আসামিকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে। আহতরা চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাঁরা শঙ্কামুক্ত।
প্রতিনিধি/একেবি