রংপুর নগরীর চারতলা এলাকায় টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করে আসছিল এস এম মুঞ্জুর মোর্শেদ অরফে লিংকন। নিজ বাড়ির ছাদে রুফটপ রেস্টুরেন্ট হওয়ায় বাসায় ইয়াবা ও ফেনসিডিল রেখে খুব সহজে চাতুরতার সঙ্গে ব্যবসা চালায় লিংকন। অবশেষে গোয়েন্দা পুলিশের জালে ধরা পরে এই মাদক কারবারি।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে থেকে জানা যায়, এস এম মুঞ্জুর মোর্শেদ অরফে লিংকন চারতলা মোড় এলাকায় অবস্থিত নিজ ৬ তলা ভবনের ছাদে টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্টের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার আড়ালেই অধিক লোভের আশায় মাদকের কারবারও শুরু করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করছেন তিনি। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ জানুয়ারি টুইন রেস্টুরেন্টে হানা দেয় রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনার সময় মাদক ক্রয়-বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার হন ওই ভবনের মালিক এস এম মীর কাশেম এর ছেলে এস এম মুঞ্জুর মোর্শেদ অরফে লিংক (৫১), কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার বাগডাঙ্গা এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে মাসুদ রানা (৩২), রংপুর নগরীর আশরতপুর পার্কের মোড় এলাকার মৃত জাহিদুল ইসলামের ছেলে সামিউল আলম অরফে রতন (৩২), নগরীর ধর্মদাস মিলনপাড়ার কোরবান আলীর ছেলে মোশাররফ হোসেন (৩৫), নগরীর শালবন এলাকার আব্দুল মালেক ব্যাপারীর ছেলে শিপন মিয়া (২৭)। এসময় ১৬৩ পিস ইয়াবা ও ৪১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান জানান, অভিজাত রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আড়ালে এক শ্রেণির অসাধু চক্র মাদকের কারবার করছে—এরকম তথ্যের ভিত্তিতে টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্টে অনেক তথ্য যাচাই-বাছাই করে অভিযান পরিচালনা করে ৫ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। মাদক কারবারিরা ভেবেছিল, রেস্টুরেন্টের আড়ালে মাদকের ব্যবসা করলে কেউ বুঝতে পারবে না। সেই বিশ্বাস থেকে তারা এই ব্যবসা করে আসছিল। এই রেস্টুরেন্টের সঙ্গে আরো কেউ কিংবা অন্য কোনো রেস্টুরেন্টের যোগসূত্র আছে কি না অথবা এখান থেকে কারা কারা মাদক ক্রয় বিক্রয় করে সেগুলো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
টিবি

