দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায়। এবারের নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে ১১টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৯ প্রার্থী। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ১০ জন। তাদের মধ্যে নারী প্রার্থী দু’জন।
কুয়াশামাখা ভোরে ছোট্ট নাতি নিয়ে খুলনার ফুলতলা উপজেলার রিইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দিতে এসেছেন খোকন দাস (৬৯)। ভোট দেওয়া শেষে তিনি বলেন, কোনো ভিড় নাই, ভোট দেতে আইছি আর গেছি। ৪৮ বছর ধরে ভোট দেই কিন্তু এ রকম ভোট আর দেই নাই। ভোটের কোনো আমেজ পাই নাই।
বিজ্ঞাপন
সকালে খুলনা- ৫ (ডুমুরিয়া -ফুলতলা) আসনের শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেকগুলো কেন্দ্র ঘুরে কোথাও তেমন ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। এ ছাড়া জেলার ৬টি আসনের ভোট কেন্দ্রগুলোতে খোঁজ নিয়েও একই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে।
ফুলতলা রি ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও পয়গ্রাম সরকারি স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষের দু’টি লাইনের মধ্যে পুরুষের লাইন প্রায় খালি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের উপস্থিতি কিছুটা বাড়ছে। এ সময় ভোট দিতে আসা বেশ কিছু নারী ও পুরুষ ভোটারদের সঙ্গে কথা হয়।
ফুলতলা রি ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দিতে আসা প্রথম পুরুষ মো. মেহেদী হাসান বলেন, সুষ্ঠু সুন্দর ভোট দিছি। তয়, শীতকাল দেইখা এহনো ভোটার আয় নাই, বেলা বাড়লে ভোটার ও বাড়বে।
খুলনা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, রোববার ভোর থেকে কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়েছে ব্যালট পেপার। এর আগে খুলনা সার্কিট হাউজ থেকে শনিবার বেলা ১১টায় খুলনা ২ ও ৩ আসনের ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ভোট কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন বলেন, নির্বাচন শতভাগ গ্রহণযোগ্য করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করি আজ ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর একটি নির্বাচন জেলাবাসীকে উপহার দিতে চাই।
প্রতিনিধি/এসএস

