কুমিল্লা-৪ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আমি আগামী ৭ তারিখে আপনাদের কাছে একটি করে ভোট ভিক্ষা চাই। ইনশাআল্লাহ আগামী ৫ বছরের জন্য আমি আপনাদের সেবক হয়ে থাকব।
তিনি বলেছেন, দেবিদ্বারে ঈগল প্রতীকের গণজোয়ার দেখে অনেকের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আগামী ৭ তারিখ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই নির্বাচন হবে গোমতীর মাটি লুটকারীদের বিরুদ্ধে, সিএনজি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রসুলপুর বাজার সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী সভায় এসব তিনি এসব কথা বলেন।
সভার শুরুতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সভায়স্থলে যোগ দেন হাজার হাজার নারী-পুরুষ। এতে অল্প সময়ের মধ্যে বৈঠকটি জনসভায় রুপ নেয়।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. এসএম নিজামের সঞ্চালনায় মো. আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, গত ১৫ বছর দেবিদ্বারের মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রাস্তাঘাটের কোটি কোটি বাজেট কোথায় গেল? তিনি বলেন, দেবিদ্বার থেকে সকল অন্যায় অত্যাচার বন্ধ করা হবে। সকল জঞ্জাল সৃষ্টিকারী অপশক্তি ৭ তারিখের বানের জলে ভেসে যাবে। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে মাত্র ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। ৫ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়ে এ উপজেলার ২১২টি গ্রামে উন্নয়ন সম্ভব ছিল না। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যদি আমি নির্বাচিত হই তাহলে আমি কথা দিচ্ছি, এই রসুলপুরে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করা হবে।
রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান সরকারের সভাপতিত্ব বক্তব্য দেন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কালিপদ মজুমদার, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেন রাজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাজ মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কাশেম চেয়ারম্যান, দেবিদ্বার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ কাইয়ূম ভূঁইয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, ইউপি মেম্বার ইউসুফ আলী, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান, মো. মাহবুবুল আলম সরকার, শাহজাহান (মিন্টু) মেম্বার, সালাহউদ্দিন মেম্বার, সাদ্দাম হোসেন মেম্বার, সিঙ্গাপুর প্রবাসী রুম্মন খান, ডাক্তার মোশারফ হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
প্রতিনিধি/এসএস

