দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ।
গতকাল শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সমর্থনের ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী সভায় বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে হাতঘড়ি মার্কাকে বিজয়ী করে সন্ত্রাস ও ডাকাতমুক্ত চকরিয়া পেকুয়া গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক তথা হাতঘড়ির পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমরা জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে তাকে বিজয়ী করব ইনশাআল্লাহ। তিনি একজন অত্যন্ত সৎ, দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য মানুষ। এলাকার সাধারণ মানুষ তাকে অত্যন্ত ভালোবাসে। তাই ৭ জানুয়ারি ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে হাতঘড়ি মার্কাকে বিজয়ী করবে এই জনপদের মানুষ।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে চকরিয়া পেকুয়ার মানুষকে অত্যাচার, জুলুম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দখলদার ও ডাকাতের হাত থেকে মুক্ত করবেন। তার নেতাকর্মীদের হুমকি ধমকি ও শারীরিক নির্যাতন করছে প্রতিপক্ষ লোকজন। তাই সুস্থ নির্বাচনের স্বার্থে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চান।
জেনারেল ইব্রাহিম বলেন, এই আসনে যেহেতু নৌকার প্রার্থী নেই। তাই তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকের ভোট পাবেন। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলের নেতাদের ধন্যবাদ জানান।
বিজ্ঞাপন
সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের সমর্থনে চকরিয়া, পেকুয়া ও মাতামুহুরি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতারা।
প্রসঙ্গত, এমপি জাফরের বিরুদ্ধে চকরিয়ার পেকুয়ায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। তার কথামতো না চললে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মারধর হুমকি-ধমকি ও মামলা হামলার ঘটনা ঘটেছে। শত শত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া করার অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোয়ন দেওয়া হয়নি বলে বলে দলীয় সূত্র দাবি করেছে। অবশ্য এমপি জাফর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ট্রাক মার্কায় নির্বাচন করছেন।
প্রতিনিধি/একেবি