মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ঢাকা

জেঁকে বসেছে শীত: ফুটপাতে শীতের কাপড় কিনতে ক্রেতাদের ভিড়

শামীম হোসেন সামন, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা)
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

জেঁকে বসেছে শীত: ফুটপাতে শীতের কাপড় কিনতে ক্রেতাদের ভিড়

অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি থেকেই শীত বাড়তে থাকে। এতে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা। সারা দেশের মতো ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জেও বাড়ছে শীত। আর শীত নিবারণের জন্য রিকশাচালক, ভ্যানচালকসহ স্বল্প আয়ের মানুষজন ভিড় করছে ফুটপাতে। অল্প দামে গরম কাপড় কিনতে নারী পুরুষ বয়স্ক সব বয়সী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ফুটপাতের এসব অস্থায়ী দোকানগুলোতে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী, জয়কৃষ্ণপুর, বান্দুরা, নয়নশ্রী ও দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি, কুসুমহাটি, মাহমুদপুর ইউনিয়নের বাজারগুলোতে এখন অস্থানীয় দোকানিরা বসেছেন শীতের জামাকাপড় বিক্রির জন্য। সেসব দোকানে ছোট বড় সব বয়সীদের শীতের জামা। নিম্ন আয়ের মানুষজন এসব দোকান থেকে পছন্দ অনুযায়ী জামা কাপড় কিনছেন।


বিজ্ঞাপন


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অস্থানীয় এসব দোকানে প্রতিটি জ্যাকেট ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, ব্লেজার পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায়, ফুল হাতা গেঞ্জি ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকায়, হাতের কাজ করা শাল ২০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, ট্রাউজার ১৫০ টাকা পাওয়া যাচ্ছে।

বান্দুরা বাজারে অস্থায়ী পুরান কাপড় ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, ৫ বছর ধরে বিভিন্ন বাজারে পুরান কাপড় বিক্রি করেন। শীত এলে বিক্রি বাড়ে। কয়েক সপ্তাহ ধরে শীত বাড়ছে তাই বিক্রিও ভালো। প্রতিদিন সকাল থেকেই ক্রেতারা আসেন দোকানে। পছন্দ অনুযায়ী কিনছেন তারা।

বারুয়াখালী বাজারে শীতের কাপড় কিনতে আসা রোকেয়া বেগম বলেন, রাতে ঠান্ডা পড়ে। ছোট ছোট বাচ্চাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। শীতের কাপড় কিনতে আসছি। এসব দোকানে কম দামে জিনিস পাইতেছি। তাই সবসময় এখান থেকেই কিনে থাকি।

বাগমারা কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় নবগ্রাম থেকে কাপড় আসা ভ্যানচালক বলেন, শীত বাড়ছে বাইরে কাজ করতে গেলে জামাকাপড় দরকার। অল্প আয় দিয়ে সংসার চালানোই কষ্ট। তাই এসব দোকান থেকে কিনলে কম দামে কেনা যায়।


বিজ্ঞাপন


প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর