প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলককে ‘ডিজিটাল সাহেব’ বলে সম্বোধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলার আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভাকালে নাটোরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সভায় তিনি একথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ভার্চুয়াল জনসভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার অনুমতিক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমাদের শ্রদ্ধীয় নেতা অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ভাইকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রতিমন্ত্রী পলক এ কথা শেষ করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাঁসতে হাঁসতে বলেন, ‘ডিজিটাল সাহেব’ তুমি সভাপতিকে দাও। ‘ডিজিটাল সাহেব’ তুমি সভাপতিকে দাও' বলে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে দু’বার ‘ডিজিটাল সাহেব’ বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। এ কথা শুনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাসতে থাকেন।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আন্তরিকভাবে সালাম জানাচ্ছি। ‘আসসালামু আলাইকুম’ এবং নাটোরবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনি গতকাল সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন প্রথমে। দ্বিতীয় ধাপে আজকে নাটোরের সঙ্গে আপনি সংযুক্ত হয়েছেন। এজন্য নাটোরবাসী ধন্য এবং কৃতজ্ঞ। আপনি নাটোরবাসীকে ভালোবেসে সংযুক্ত হয়েছে, সেজন্য আরেক বার আপনাকে নাটোরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আপনাকে জানাতে চাই, যা আপনার মেসেজ আজকের নৌকা মার্কার প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাদের মনোনীত চারজন প্রার্থী নাটোর থেকে যারা আছেন তাদেরকে উপহার দেবে। আগামী দিনে আপনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, এবং নাটোরের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে জানাতে চাই যে, আপনি নলডাঙ্গার বুড়ির ভাগ মাঠে এসে নলডাঙ্গা উপজেলা দিতে চেয়েছিলেন, সেই উপজেলা দিয়েছেন। নলডাঙ্গাবাসী আজকে আপনার প্রতি ভালোবাসায় মুগ্ধ, আজকে সকলেই আপনাকে ভোট দেন।
বিজ্ঞাপন
সভাপতির বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাটোরকে নিয়ে বলেন, অনেক ধন্যবাদ। যেহেতু আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, তাই এবার আমরা ডিজিটালি বিশেষ করে নাটোরে সংযুক্ত হয়েছি। নাটোর একটি ঐতিহ্যবাহী জায়গা। আমি আগেই বলেছি, নাটোরের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। তে আমরা চাই, হ্যাঁ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। কিন্তু সেই সঙ্গে আরেকটা কথা বলবে, নিজেদের মধ্য কোনো রকম সংঘাত আমি দেখতে চাই না। আমরাই উম্মুক্ত করে দিয়েছি সিট। সবাই নির্বাচন করবে। জনগণ আসবে, জনগণ ভোট দেবে। জনগণ সেই সিন্ধান্ত নেবে। জনগণের সেই স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। যাকে খুশি তারা ভোট দেবে, ভোট চাওয়ার অধিকার সবার আছে।
এর আগে জনসভায় নাটোরের নাম ঘোষণার পর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নাটোরের চারটি আসনের নৌকার প্রার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর প্রতিমন্ত্রী পলক আওয়ামী লীগ সরকারের নাটোর জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।
প্রতিনিধি/এসএস