দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫ টি সংসদীয় আসনে লড়বেন ৩৪ জন প্রার্থী। রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে ৫ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন৷ এর মধ্যে সর্বোচ্চ নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ৯ জন প্রার্থী আর সর্বনিম্ন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সোমবার তাঁদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ করা হবে। প্রতীক বরাদ্ধের পর আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারণা শুরু করবেন তাঁরা।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে লড়বেন ৯ জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন, গোলাম দস্তগীর গাজী (আওয়ামী লীগ), তৈমুর আলম খন্দকার (তৃণমূল বিএনপি), একেএম শহিদুল ইসলাম (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), শাহাজাহান ভুইয়া (স্বতন্ত্র), গাজী গোলাম মর্তুজা (স্বতন্ত্র), মো. হাবিবুর রহমান (স্বতন্ত্র), মো. জোবায়ের আলম (স্বতন্ত্র), মো. সাইফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী (স্বতন্ত্র)। নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আফাজ উদ্দিন মোল্লা জামানতের টাকা জমা না দেওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। এই আসনে কোন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
বিজ্ঞাপন
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার)
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৫ জন। তাঁরা হলেন নজরুল ইসলাম বাবু (আওয়ামী লীগ), মো. আবু হানিফ হৃদয় (তৃণমূল বিএনপি), শাহজাহান (জাকের পার্টি), আলমগীর সিকদার লোটন (জাতীয় পার্টি), মো. শরিফুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মো. শরীফুল ইসলাম ক্রেডিট কার্ডে ঋণখেলাপি হওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হলে তিনি আপীল করেন নির্বাচন কমিশনে। পরে প্রার্থিতা ফেরত পান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও)
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাঁরা হলেন, কায়সার হাসনাত (আওয়ামী লীগ), লিয়াকত হোসেন খোকা (জাতীয় পার্টি), এবিএস ওয়ালিউর রহমান খান (বিএনএম), মো. আসলাম হোসাইন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), নারায়ণ দাস (বিকল্প ধারার বাংলাদেশ), মো, মজিবুর রহমান (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন), এ.এইচ.এম মাসুদ (স্বতন্ত্র), মুক্তিজোটের মো. আরিফ। এখানে জাকের পার্টির জামিল মিজি ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. সিরাজুল হকের প্রার্থিতা বাতিল করা হয় জামিনদাতা হিসেবে ঋণ খেলাপি হওয়ায়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক, আরেক সদস্য এরফান হোসেন দীপ, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কায়সার হাসনাতের স্ত্রী রুবিয়া সুলতানা।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাঁরা হলেন, একেএম শামীম ওসমান (আওয়ামী লীগ), মো. আলি হোসেন (তৃণমূল বিএনপি), মো. মূরাদ হোসেন জামাল (জাকের পার্টি), মো সেলিম আহমেদ (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি), মো. হাবিবুর রহমান (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), শহিদ উন নবী (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), গোলাম মোর্শেদ রনি (বাংলাদেশ কংগ্রেস), মো. ছৈয়দ হোসেন (জাসদ)। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রাশেদুল ইসলাম ও কাজী দেলোয়ার হোসেন মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় তাঁদের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছালাউদ্দিন খোকা মোল্লা।
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর)
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ৪ জন প্রার্থী লড়বেন। তাঁরা হলেন, একেএম সেলিম ওসমান, এএসএম একরামুল হক (ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ), মো. আব্দুল হামিদ ভাসানী (তৃণমূল বিএনপি), ছামসুল ইসলাম (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি)। জাকের পার্টির প্রার্থী মোর্শেদ হাসান প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন৷
বিজ্ঞাপন
ভোটার
নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানা গেছে, এবার জেলার ৫ টি আসনে মোট ভোটার ২২ লাখ ৫৫ হাজার ৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৭ জন এবং নারী ভোটার ১১ লাখ ৭ হাজার ৬৬জন; তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১৭ জন। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬১৬ জন। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৬৭ জন। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৮জন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মোট ভোটার ৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৩৯ জন। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ভোটার।
প্রতিনিধি/একেবি

