রোববার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ঢাকা

আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর দুরুল হুদা হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি, ঢাকা (সাভার, ধামরাই)
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২৭ পিএম

শেয়ার করুন:

আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর দুরুল হুদা হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গ্রেফতার

সাভারের আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর দুরুল হুদা (৪২) হত্যাকাণ্ডের পলাতক আসামি মতিউর রহমান মতিনকে (২৫) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব-৪ ও র‍্যাব-৫ এর যৌথ আভিযান্ত্রিক দল তাকে গ্রেফতার করে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।


বিজ্ঞাপন


এর আগে রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার মতিউর রহমান মতিন নওগাঁর নিয়ামতপুর থানাধীন বালাহান্দা এলাকার বাসিন্দা। সে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো বলে জানা যায়।

র‌্যাব জানায়, গত ২০ নভেম্বর আশুলিয়ার পলাশবাড়ি বাতানটেক এলাকার একটি ভাড়া বাসা হতে দুরুল হুদা (৪২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের স্ত্রী খাতিজা (২৮) একই দিন দুপুর আড়াইটার দিকে পোশাক কারখানা থেকে বাসায় ফিরে নিজের স্বামীর মরদেহ দেখতে পেলে তার আর্তনাদে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন এবং ঘরের ভেতর প্রবেশ করে দেখতে পায় যে, নিহত দুরুল হুদার হাত-পা বাঁধা এবং মুখে স্কচটেপ দিয়ে আটকানো নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে


বিজ্ঞাপন


এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে বিষয়টি থানা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবকে অবহিত করলে র‌্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা স্ত্রী খাতিজা খাতুনকে (২৭) গ্রেফতার করে র‌্যাব।

গ্রেফতার আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত দুরুল হুদা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার উত্তর ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্ত্রীসহ আশুলিয়া পলাশবাড়ির বাতানটেক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তিনি একটি কীটনাশক কারখানার প্যাকিংম্যান হিসেবে কাজ করতেন এবং তার স্ত্রী আসামি খাতিজা খাতুন স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। একই পোশাক কারখানায় চাকরি সুবাদে গ্রেফতার আসামি মতিউর রহমান মতিনের সঙ্গে নিহতের স্ত্রী খাতিজা খাতুনের পরিচয় হয় এবং পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মাঝে বিবাহ বর্হিভূত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে নিহত দুরুল হুদা ও তার স্ত্রীর মধ্যকার প্রায়শই তুমুল ঝগড়া-বিবাদ হতো। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী খাতিজা খাতুন ও গ্রেফতার আসামির যোগসাজশে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিহতের স্ত্রী গত ১৯ নভেম্বর রাতের খাবার শেষে ভিকটিম দুরুল হুদাকে তার নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয়, যার তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ভুক্তভোগী অচেতন হয়ে পড়লে আসামি মতিউর বাসায় প্রবেশ করে। নিহতের স্ত্রী খাতিজা খাতুনসহ হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং ভিকটিমের মুখমণ্ডল ও মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে মেঝেতে ফেলে রাখে।

পরবর্তীতে গ্রেফতার মতিউর রহমান ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে নওগাঁ জেলায় নিজ এলাকায় আত্মগোপন করে। পরে র‍্যাব-৪ ও র‍্যাব-৫ এর যৌথ আভিযানিক দল তাকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর