বাগেরহাটের রামপালে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় আরও ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত দুই দিনে অভিযান চালিয়ে মোট ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে বাগেরহাট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপাল থানার ওসি এস এম আশরাফুল আলম
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে জানান, অজ্ঞাত পরিচয়ের দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়েছে বাস। এ ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের না করে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে একটি মহলের প্ররোচনায় বিএনপির নেতাকর্মীদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন বৃদ্ধ মানুষও রয়েছেন। একের পর এক কথিত নাশতার অভিযোগে মামলা দায়ের করায় প্রমাণিত হয় সরকার বিরোধী দল দমনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নিরপেক্ষ তদন্ত ও নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) গভির রাতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতাররা হলেন, মানিকনগর গ্রামের শহিদুল্লাহ শেখের ছেলে মো. রাসেল শেখ (২৬), শিবনগর গ্রামের আ.খালেক শেখের ছেলে মো. হাবিবুর রহমান (২৭), ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত আ. রাজ্জাকের ছেলে মো. শরিয়ত কুদরতি (৫৭) ও তালবুনিয়া গ্রামের মৃত জলিল শেখের ছেলে মোঃ ওলিয়ার শেখ(৫৫)। শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের বাগেরহাট আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর রাত ৯ টায় রামপাল উপজেলার খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ফয়লাস্থ বাবুল কাজীর মৎস্য ঘেরের পাশে দাড়িয়ে থাকা যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় রামপাল থানায় বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে মামলা দায়েরের পরই পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে

