‘আমার বাবার একটি পুরনো মোটরসাইকেল ছিল, যে অন্য চাবি দিলে খুলে যেত। সেখান থেকেই আমার ধারণা ছিল, পুরনো গাড়িতে চাবির ঘাট নষ্ট থাকে, এজন্য অন্য চাবি দিয়ে একটু চেষ্টা করলেই খুলে যাবে। আমার কাছে যখন টাকা-পয়সা না থাকত তখন চুরির বুদ্ধি আসে। তখন ভেবেছি, অল্প কষ্ট করে মোটরসাইকেল চুরি করা সম্ভব। আর সেই ধারণা থেকেই মোটরসাইকেল চুরি শুরু করেছি।’
এভাবেই নিজের চুরিবিদ্যার কথা বলছিল সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আন্তঃবিভাগীয় চোর চক্রের মূল হোতা কিশোর নাঈম হাসান।
বিজ্ঞাপন
সে বলে, প্রথমে আমরা দোকান থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেলের চাবি কিনি। এরপর আমরা পুরনো মোটরসাইকেল টার্গেট করে আমাদের কাছে থাকা চাবি দিয়ে তালা খুলে মোটরসাইকেল নিয়ে পালাই। মোটরসাইকেলগুলো খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়।
প্রাথমিকভাবে গত ছয় মাসে চারটি মোটরসাইকেল চুরি করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয় নাইম হাসান (১৯)।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা শহরের আমতলা মোড় যাত্রী ছাউনির সামনে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আন্তঃবিভাগীয় চোর চক্রের মূল হোতাসহ দুইজনকে আটক করে সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। আটক ব্যক্তিরা হলো, বাগেরহাটের বারইপাড়া ইউনিয়নের হাফিজুল ইসলামের ছেলে নাইম হাসান (১৯) ও সাতক্ষীরা সদরের মাছখোলা গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৩)।
জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারকে ফয়সাল ইবনে আজিজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা শহরের আমতলা মোড় যাত্রী ছাউনির সামনে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের আটক করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশের সদস্যরা। আটককৃতদের তথ্যমতে একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। আসামিরা এর আগে জেলাসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিল বলে স্বীকার করে।
আটক আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি তারকে ফয়সাল ইবনে আজিজ।
প্রতিনিধি/জেবি

