নেত্রকোনায় শিশু হত্যা ও দু’টি মাদক মামলায় তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এফ এম মারুফ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নেত্রকোনা পৌরশহরের চকপাড়া এলাকার মো. কাইয়ুম ওরফে কিংকন (৪৫), মঈনপুর এলাকার ইয়াসমিন আক্তার (৩৫) ও সদরের দেওপুর গ্রামের (মুক্তির বাজার) পলাশ সরকার (৪৩)।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কমলেশ কুমার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলার কলমাকান্দা উপজেলার ডুমুরিয়াকোনা গ্রামের সুমন মল্লিকের গোয়াল থেকে গুরু চুরি করে ধরা পড়ে পলাশ সরকার। পরে স্থানীয় বিচারে অপমানিত হয় পলাশ সরকার। এর প্রতিশোধ নিতে ২০১৩ সালের ২৫ আগস্ট সুমন মল্লিকের ছেলে বিশাল মল্লিককে (৬) জবাই করে হত্যা করে পলাশ সরকার ও স্থানীয় ডুমুরিয়াকোনা গ্রামের কনক মল্লিক এবং স্বপন দাস। ২৬ আগস্ট আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ২৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার পলাশ সরকারকে যাবজ্জজীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এ মামলার অপর দুই আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের কিশোর আদালতে পাঠানো হয়।
অপরদিকে জেলায় প্রথম মাদকের চালান আমদানিকারক হিসেবে কুখ্যাতি অর্জনকারী কাইয়ুম ওরফে কিংকনকে ২৩০ গ্রাম হেরোইনসহ ২০১৮ সালে ২৪ জুন গ্রেফতার করে সদর থানার পুলিশ। তদন্ত শেষে একই বছরের ২১ আগস্ট আদালতে কিংকনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০১৮ সালের ২৭ মে ৫০৭ গ্রাম হেরোইনসহ ইয়াসমিন আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইয়াসমিন ও তার স্বামী মাদকের পাইকারী ব্যবসায়ী। এ মামলায় একই বছরের ২ আগস্ট ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কমলেশ কুমার চৌধুরী বলেন, হাওরাঞ্চলের এই নিভৃত জনপদে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মানুষ দ্রুত মুক্তি পাচ্ছে।
প্রতিনিধি/এসএস

