পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ সরদারের মাছের ঘের থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৫ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দিনগত গভীর রাতে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ পৌর শহরের মধ্য ভান্ডারিয়া মহল্লার সরদার পাড়ায় ওই জেপি নেতার মাছের ঘেরের একটি গুদাম ঘর থেকে ব্যাগ ভর্তি ওই অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দিনগত রাতে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় দক্ষিণ শিয়ালকাঠী মেডিকেল মোড়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুর, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করা মামলায় অভিযুক্ত আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মামুনুর রশীদ সরদার পৌর শহরের মধ্য ভান্ডারিয়া মহল্লার সরদারপাড়ার জয়নাল সরদারের ছেলে। তিনি ভান্ডারিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির (জেপি) অঙ্গ সংগঠন জাতীয় যুবসংহতির উপজেলা শাখার সদস্য সচিব।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (জেপি, মঞ্জু) এর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলি ও একাধিক ককটেল বিষ্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের দাবি, জাতীয় পার্টি তাদের ওপর গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। তবে পুলিশ ওই গুলির তথ্য এড়িয়ে যান।
বিজ্ঞাপন
থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দিনগত রাতে আওয়ামী লীগ ও জেপি নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে যুব সংহতি নেতা মামুনুর রশীদ সরদারসহ জেপির চারজনকে গ্রেফতার করে।
গভীর রাতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে অস্ত্র ও গুলি মজুদ রাখার কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তির পর পুলিশ ওই যুবসংহতি নেতার মাছের ঘেরে অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানার উপ পরিদর্শক মো. জসীম উদ্দিন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশিকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত মামুনুর রশীদ সরদার এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কয়েটি মামলা রয়েছে। পুরানো মামলায় তাকে গ্রেফতারের পর তার কাজে মজুদ করা অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। তাকে বুধবার (২৯ নভেম্বর) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস