লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদকের পদ নিয়ে দুই নেতা টানাটানি করছে। ফেসবুকে দুই নেতার পাল্টাপাল্টি পোস্ট করাতে সমালোচনা জন্ম দিয়েছে।
একজনের দাবি পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তার নাম রয়েছে। অন্যজনের দাবি, উপজেলা আওয়ামী লীগ সবসময় সাংগঠনিক কার্যক্রমে তার নাম পদবি ব্যবহার করে চিঠি পাঠান।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতা কবির পাটোয়ারী ও সৈয়দ সাইফুল ইসলাম পলাশের সঙ্গে কথা হলে তারা এর কোনো সঠিক ব্যাখা দিতে পারেননি।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক পদ দাবিদার হুমায়ুন কবির বিপ্লব। তিনি সাবেক সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। অপরজন মোরশেদ আলম। তিনি সাবেক সদর থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
দুইজনেই সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়নকে পূর্ণরায় এমপি হিসেবে দেখতে চেয়ে তাদের নিজ-নিজ ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করেন। পৃথক দুইটি পোস্টে দুই নেতার একই পদ উল্লেখ থাকায় সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
হুমায়ুন কবির বিপ্লব সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক উল্লেখ আছে। একই পদ উল্লেখ করে উপজেলা আওয়ামী লীগ মোরশেদ আলমকে সাংগঠনিক পোগ্রামে দাওয়াত দেয়।
বিজ্ঞাপন
জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির বিপ্লব বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষরিত প্যাডে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আমি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক।
মোরশেদ আলম জানান, আমাদের সাংগঠনিক যেকোনো পোগ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগ আমাকে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক উল্লেখ করে চিঠি দেয়।
লক্ষ্মীপুর সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম পলাশের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার বক্তব্য দেওয়ার কিছুই নেই। কিছু জানতে চাইলে সভাপতির সঙ্গে কথা বলুন।
সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী বলেন, বিপ্লবকে আমাদের কমিটিতে রাখা হয়নি। যখন জানতে চাওয়া হলো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের সাক্ষরিত কমিটিতে বিপ্লবকে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে। তখন হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী বলেন, না বিপ্লব আমাদের কমিটির কেউ নয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন (এমপি) বলেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি একবার পুর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। কিন্তু সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দাবি হচ্ছে সংশোধন করে পুর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। পরে এমপি নয়ন বলেন, কাগজপত্র পর্যালোচনা করলে বুঝা যাবে। এর-আগে মন্তব্য করা যাবে না।
টিবি

