কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ১ ডিসেম্বর ৭৮০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে "কক্সবাজার এক্সপ্রেস" নামের একটি ট্রেন। এ উপলক্ষে রেলযাত্রার প্রথম দিনের টিকিট বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে মানুষের। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কক্সবাজার থেকে ট্রেন যাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম। সেই রেলযাত্রার প্রথম যাত্রী হওয়ার আশায় অনেকেই খুশিতে আত্মহারা ও উচ্ছ্বসিত।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে টিকিট বিক্রির খবরে ভোর থেকে স্টেশনে ভিড় করেন শতশত মানুষ। তবে অধিকাংশই টিকেট সংগ্রহ করেছেন অনলাইনে। সার্ভার ত্রুটির কারণে স্টেশনে কিছুটা বিড়ম্বনা পোহাতে হলেও টিকেট হাতে পাওয়ার পর আনন্দে বিমোহিত ছিলো মানুষ।
বিজ্ঞাপন
টিকিট ক্রয়কালে কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল বলেন, জীবনে প্রথম কক্সবাজার থেকে ট্রেনে করে ঢাকা যাব, যার অপেক্ষা ছিল দীর্ঘদিনের। কক্সবাজারবাসীকে রেললাইন উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এইখানে যেমন আইকনিক রেলস্টেশন দিয়েছেন, তেমনি নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়বে বলে আশা সাবেক এই জনপ্রতিনিধির।
টিকেট ক্রয়কালে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মঈন বলেন, ট্রেনের টিকেট হাতে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। বঙ্গকন্যার হাত ধরে রেলসংযোগে যুক্ত হয়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। যা আগামী দিনের এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্পে বড় ভূমিকা রাখবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ছেড়ে যাবে আগামী ১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা ৪০মিনিটে। এই ট্রেন চট্টগ্রামে বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে এবং ঢাকায় পৌঁছবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে।
বিজ্ঞাপন
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। চট্টগ্রামে এসে পৌঁছাবে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে। ২০ মিনিট যাত্রাবিরতি দিয়ে রাত ৪টায় কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। কক্সবাজারে পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। অর্থাৎ রাজধানী থেকে পর্যটন শহরে যেতে সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা ১০ মিনিট।
কক্সবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া ২ হাজার ৩৮০ টাকা। এই ট্রেনের আসন সংখ্যা ৭৮০।
অনলাইনে এবং অফলাইনে মানুষের সাড়া দেখে উচ্ছ্বসিত রেল কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজার রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আতিকুর রহমান জানান, আমরা কল্পনাও করিনি মানুষের এতটা সাড়া পাব। গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেল রুটটির উদ্বোধন করেন।
প্রতিনিধি/এমএইচএম

